ঢাবি শিক্ষার্থীদের ‘৫-৬ মাসের সেশনজটে’ সমস্যা দেখছেন না উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জন্য ৮শ’ ৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ( ২৪ জুন) বেলা ৩টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই অধিবেশন এ তথ্য জানানো হয়। সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন। বক্তব্যের এক অংশে উপাচার্য জানিয়েছেন, ঢাবি ৫-৬ মাসের সেশনজট থাকলেও একাডেমিক কাউন্সিল প্রণীত 'ক্ষতি পুনরুদ্বায় পারকল্পনা (Loss Recovery Plan) অনুসরণ করলে তার নিরসন ঘটানো হবে।
এ বাজেট অধিবেশনে বক্তব্যকালে ঢাবি উপাচার্য ড. মো: আখতারুজ্জামান বলেন, করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে গত এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলেও অনলাইন ও অফলাইনের সমন্বয় আনার মাধ্যমে যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সম্পূর্ণ নতুন এবং ভিন্ন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলের সহযোগিতার মানসিকতার জন্য আমি সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করে এবং অনলাইনে/সশরীরে বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দীর্ঘসময়ের সেশনজটের ঝুঁকি রুখতে পেরেছে। এ মুহূর্তে ৫-৬ মাসের সেশন জট থাকলেও একাডেমিক কাউন্সিল প্রণীত 'ক্ষতি পুনরুদ্বায় পারকল্পনা (Loss Recovery Plan) অনুসরণ করলে তার নিরসন ঘটবে। আর শিক্ষার গুণগতমানের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে, করোনা একটি দীর্ঘমেয়াদি দুর্যোগ। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সকলের ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সাহস, ধৈর্য তৈরি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য ধারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা রকম উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা পরিবেশ এবং অত্যাবশ্যক ঠামসহ সামগ্রিক উন্নয়নের মাস্ট প্ল্যান প্রণয়ন, মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার তহবিল গঠন ও গবেষণাগারের আধুনিকায়ন, মল চত্বরের ল্যান্ডস্কেপিংসহ 'সেন্টিনারি মনুমেন্ট' তৈরি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের ওপর মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ প্রভৃতি।