ঢাবিতে এবার বাজেট কমেছে
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। আজ সোমবার (২১ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এ বাজেট উপস্থাপন করেন। আলোচনার পর সিন্ডিকেট এ বাজেট অনুমোদন দেয়। আগামী ২৪ জুন সিনেটে আলোচনার পর এ বাজেট চূড়ান্ত হবে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজেটের আকার কমেছে। গত বছর ৮৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যা গত বছর থেকে এবার ১০% কম।
এবার বাজেটে গবেষণার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ কোটি টাকা। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়নি কোনো প্রণোদনা।
এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজেটের আকার কমেছে। গত বছর ৮৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া গবেষণায় বাজেট বরাদ্দ কমেছে।
তিনি আরও বলেন, এবারের বাজেটে গবেষণার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১.৩২%। শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বাবদ খাতে ২৭% এবং শিক্ষক কর্মকর্তাদের ভাতা বাবদ ২০.২০% ধরা হয়েছে।
করোনাকালে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো প্রণোদনা রাখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূল বাজেটে এ বিষয়ে কোনো প্রণোদনা রাখা হয়নি। তবে এ খাতে বিশেষ বরাদ্দের জন্য বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে। সেটি সিন্ডিকেটেও আলোচনা করা হয়েছে। সরকারকে সেভাবে লেখা হবে।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, এবারের বাজেটে ২৬৪ কোটি টাকা শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন, ২২৪ কোটি টাকা ভাতা, পণ্য ও সেবায় খাতে ১৬৮ কোটি টাকা, পেনশন বাবদ ১২২ কোটি টাকা, গবেষণা মঞ্জুরি খাতে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (বিমক) অনুদান ৬৯৬ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৮৩%।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। আগামী ২৪ জুন সিনেটে আলোচনার পর এ বাজেট চূড়ান্ত হবে।