ঢাবিতে স্মার্টফোনের জন্য সফটলোন আবেদনের সময় বাড়ল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার ঋণ পেতে আবেদনের সময়সীমা আগামী ২০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। সব শিক্ষার্থীকে অনলাইন শিক্ষার আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল প্রায় সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থীকে বিনা সুদে এ ঋণ দিবে।
সোমবার (১৪ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালকের দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে স্মার্টফোন কেনার ঋণ পেতে 'সফটলোন তালিকাভুক্ত' শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ জুনের মধ্যে আবেদন ফরম পূরণ করে স্ব স্ব বিভাগের চেয়ারম্যান বা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের নিকট প্রেরণ করতে বলা হয়। তবে আবেদন প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন জটিলতায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা উদ্ভুত প্রশ্ন সৃষ্টি হলে কর্তৃপক্ষ সেটি সংশোধন করে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
তালিকায় নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সফটলোন গ্রহণের আবেদন ফরম ডাউনলোডপূর্বক তা পূরণ করে বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের পরিচালক বরাবর প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিজ বিভাগে যোগাযোগ করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফরম প্রেরণ করতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সফটলোন তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের সোনালী/জনতা/অগ্রণী ব্যাংকসহ বাংলাদেশের যে কোন তফসিলি ব্যাংকের যেকোন শাখায় নিজ নামে ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে। তবে যাদের ব্যাংক একাউন্ট নেই তারা বাংলাদেশের যে কোন তফসিলি ব্যাংকের যে কোন শাখায় ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন। সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের হিসাব খোলার জন্য একটি Sonali eSheba অ্যাপস রয়েছে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই কোন রকম চার্জ ব্যতীত হিসাব খুলতে পারবেন এবং ঋণের অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
ব্যাংক হিসাব খোলার পর তালিকাভুক্ত সব শিক্ষার্থী ঋণ পাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপ-উপাচার্য মাকসুদ কামাল জানান, তালিকাভুক্ত সবার নাম যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে অনুমোদিত, কোনো মিথ্যা আবেদন না থাকলে তারা প্রত্যেকে এই ঋণ নিতে পারবে৷
গত বছরের নভেম্বরে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বিনা সুদে আট হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। দীর্ঘ একটা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর কেন এই ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের জটিলতার কারণে এই দেরী। মঞ্জুরী কমিশন থেকে টাকা পেতে দেরি হয়েছে। টাকা আসার পরপরই আমরা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, দীর্ঘ একটা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন উদ্যোগ নিয়েছে । পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে আশঙ্কা শিক্ষার্থীদের। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের থেকে আবেদন আসার পরপরই তারা সেটি ব্যাংকে জমা করবে। ব্যাংক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ঋণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মাকসুদ কামাল৷