১৩ জুন ২০২১, ১৬:০০

ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের আটক নেতাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবি

অভিভাবকদের সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কারাবন্দী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করার অনুরোধ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছেন আটক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ। আজ রবিবার (১৩ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

আটক শিক্ষার্থীরা হলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা, আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ও সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে চলতি বছরে ৪ এপ্রিল বিন ইয়ামিন মোল্লা, ১৩ এপ্রিল আখতার হোসেন এবং ২৯ এপ্রিল আকরাম হোসেনকে আটক করে পরবর্তীতে গ্রেফতার দেখানো হয়।

ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাতের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিন ইয়ামিন মোল্লা'র বাবা মো.রফিকুল ইসলাম, মা হাসিনা বেগম ও আকরাম হোসেনের বাবা হাফেজ মো. আলমগীর হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রাজনীতি করার, কথা বলার অধিকার আছে। তাদের পুরো জীবন শেখার বয়স। শিখতে শিখতে তারা অনেক কিছু ভুল করতে পারে। আমার সন্তানরা ন্যায়ের পথে সংগ্রাম করেছে। তার মানে এই নয় যে তাদের শিক্ষাজীবন ও ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে হবে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতি লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনার সন্তান যদি এই মুহূর্তে কারাগারে থাকতেন। তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার সন্তানের পরীক্ষার সুযোগের জন্য চেষ্টা করতেন। আমাদের সন্তানদের কে আপনার (উপাচার্য) সন্তান মনে করে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা এবং আমরা যে মুক্তির জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি সেখানেও আপনি সহযোগিতা করবেন বলে আশা করি।

হাফেজ মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ঈদের নামাজ পড়াই। কিন্তু এবারে আমার সন্তান বাড়িতে না থাকায় আমি নামাজ পড়াতে যেতে পারি নি।

ঢাবি উপাচার্যকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনি আমাদের মানসিক অবস্থা বুঝেন। আপনারও সন্তান আছে। আমাদের মানসিক অবস্থার দিকে খেয়াল রেখে কারাগারে হলেও পরীক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনার কাছে আবেদন জানাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। আদালত যদি তাদের জামিন দেয় তাহলে আমরা পরীক্ষার ব্যবস্থা করব। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।