০৭ জুন ২০২১, ২৩:৫৫

ঢাবির বঙ্গবন্ধু হলে ভয়াবহ চুরি

কম্পিউটার মনিটর, কি-বোর্ড, মাউস চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর পড়ে আছে খালি টেবিল  © টিডিসি ফটো

দীর্ঘ দেড় বছর যাবৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলো বন্ধ। কিন্তু বন্ধ হলেও থেমে নেই চুরির ঘটনা। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার কয়েকটি হলে রুমের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে আশ্বাস দিয়েছে হল প্রশাসন।

সর্বশেষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের রুমের তালা ভেঙে শাকিল আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থীর কম্পিউটার মনিটর, কি-বোর্ড, মাউস, ওয়াই-ফাই রাউটার, হাত ঘড়ি, রোদ চশমা চুরি করা হয়েছে। চুরির ঘটনাটি অনেক আগে ঘটলেও তিনি সোমবার নিজ কক্ষে গিয়ে ঘটনাটি টের পেয়েছেন। শাকিল আহমেদ বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।

শাকিল বলেন, আমাদের হলের কক্ষগুলোতে চুরির ঘটনা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার আমার রুমসহ আরও কয়েকটি রুমে চুরি নিয়ে মোট ৩ দফায় হলে চুরির ঘটনা ঘটলো। আগের ২ দফায় অনেকগুলো রুমে চুরি হয়েছিল। চুরিগুলো দরজার তালা ভেঙে করা হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমার রুমে চুরির পরে হল প্রশাসন থেকে নতুন তালা লাগানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি আমাদের রুমের কাউকে জানানো হয়নি। এজন্য আমার জানার সুযোগ হয়নি। আমার রুমে কবে এই ঘটনা ঘটেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজও বের করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হল প্রশাসনের সাথে কথা বলে কোন সন্তুষ্টিজনক উত্তর পাইনি। চুরির সাথে জড়িতদের সন্দেহের তালিকা থেকে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জিনিসপত্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হল প্রশাসনও বাদ যাচ্ছে না।

ক্ষতিপূরণ দাবি করে শাকিল আরও বলেন, হলে দফায় দফায় চুরির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সামনে হল প্রশাসনের জবাবদিহিতা করতে হবে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, এটা খুবই অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ইতোমধ্যে আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আবাসিক শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। আমাদের চারপাশে পর্যাপ্ত সিকিউরিটি ব্যবস্থা আছে। তারপরেও এরকম ঘটনা কেন ঘটবে? আমরা বিষয়টি দেখবো।