হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে ১০ দিনের আল্টিমেটাম
আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস না খুলে আটকে থাকা পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক অ্যাখ্যা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একদল শিক্ষার্থী।
আজ রবিবার (৬ জুন) দুপুরে ক্যাম্পাসের আমতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণার পাশাপাশি দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে ১০ দিনের আল্টিমেটামও দেন তারা। দাবি না মানলে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন এই শিক্ষার্থীরা।
সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক অ্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘কোনো ধরনের রূপরেখা ছাড়াই হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। এতে শিক্ষার্থীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের দাবি হলো হল খুলেই পরীক্ষা নিতে হবে।’
প্রশাসনের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা দ্বিধাদ্বন্দে পড়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, প্রশাসন পরীক্ষার তারিখ দিলেও তা কোন প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা প্রদান করেন নি। ফলে এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ফেলেছে। মাস কয়েক আগেও তাদের এমন সিদ্ধান্তের কারণে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছিল বলেও জানান তারা।
প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কথা তুলে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার কোনো স্বদিচ্ছা প্রশাসনের মধ্যে নেই। যার ফলে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে হল খুলে ক্লাশ-পরীক্ষার বিষয়ে প্রশাসন যদি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রকাশ না করে, তবে নির্দিষ্ট সময় পর আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মহব্বত হোসেন মিলন, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ, মাসুমা আক্তার, উম্মে হাবিবা, আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ আনাম, ফলিত গণিত বিভাগের রেজাউল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ৩১ মে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দ্রুত হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চারিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক গত ৩ জুন হল বন্ধ রেখে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাবি প্রশাসন।