সাবেক প্রক্টর ও ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে স্ত্রীদেরও ব্যাংক হিসাব তলব
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক প্রক্টর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতার পরিবারের চার সদস্যের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য বিদায় নেওয়া উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহানের পরিবারের পাঁচ সদস্যেরও ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। সাত দিনের মধ্যে তাঁদেরকে যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
এনবিআর চিঠি দিয়ে এ হিসাব তলব করেছে। চিঠিটি রোববার (৩০ মে) এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল থেকে ইস্যু করা হয়েছে। এতে শাখার উপপরিচালক মোছা. ফাতেমা খাতুন স্বাক্ষর করেছেন। চিঠিতে চারজনের ব্যাংক হিসাব তলব করার কথা বলা হয়।
তাঁরা হলেন প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান ও তাঁর স্ত্রী মনিরা ইয়াসমিন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। সর্বশেষ নিয়োগে আয়েশা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলের আবাসিক শিক্ষিকা পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, প্রক্টর ও তাঁর স্ত্রী এবং ইব্রাহীম ও তাঁর স্ত্রীর একক বা যৌথ অথবা তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে যেকোনো মেয়াদি আমানত হিসাব, যেকোনো ধরনের বা মেয়াদের সঞ্চয়ী হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য ধরনের কোনো সেভিংস ইন্সট্রমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিমসহ যেকোনো ধরনের হিসাব পরিচালিত বা রক্ষিত থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এনবিআরের ওই চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। তবে এর আগেও কোনো হিসাব থাকলে তাও দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ মে বিদায়ী উপাচার্য আবদুস সোবহান, স্ত্রী মনোয়ারা সোবহান, তাঁদের ছেলে মুশফিক সোবহান, মেয়ে সানজানা সোবহান এবং জামাতা শাহেদ পারভেজের ব্যাংক হিসাব দিতে বলা হয়েছিল। সানজানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক। এ ছাড়া শাহেদ পারভেজ আইবিএর প্রভাষক।
যেকোনো দিন থেকে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে ইউজিসি
আবদুস সোবহানের সময়ে দায়িত্ব পালন করা প্রক্টর লুৎফর রহমানের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৭ মে। লুৎফর রহমান বলেন, তাঁর কাছে এমন চিঠি আসেনি। নিয়োগের বিষয়ে কিছু জানেন না, তাঁকে অবগতও করা হয়নি। তদন্ত কমিটির কাছে কেউ হয়তো নাম দিয়েছে। সে জন্য হয়তো এনবিআর ব্যাংক হিসাব চেয়েছে। তারা কিছুই পাবে না বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে ইব্রাহীম হোসেন একটি চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছের। সেখানে তাঁর এমএস এন্টারপ্রাইজের হিসাব চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তিনি ছয়-সাত বছর ঠিকাদারির কাজ করেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো সংক্রান্ত কাজেও তিনি নেই। কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে বলেছে, সোবহানের নাম ভাঙিয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার কাজ করেছে।