রাবিতে এডহকে নিয়োগপ্রাপ্তদের পদে যোগদানের দাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মে যোগদানের দাবিতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করেছেন সদ্য এডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার (৩১ মে) দুপুর ১২টায় উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে এ দাবি জানায় তারা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কর্মে যোগদানের দাবিতে প্রশাসনের কাছে যায় সদ্য এডহকে নিয়োগপ্রাপ্তরা। বর্তমানে তারা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার সম্মেলন কক্ষে অবস্থান করছেন। এদের অধিকাংশই সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
এরআগে, সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন তারা।
তবে গতবছরের শেষে আব্দুস সোবহানের রিরুদ্ধে নিয়োগ প্রদানে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ সম্বলিত প্রায় ডজনখানেক চিঠি দেন শিক্ষামন্ত্রনালয়।
৬ মে এ নির্দেশনা অমান্য করে কর্মদিবসের শেষ দিনে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান রেজিষ্ট্রারের স্বাক্ষর ছাড়াই অবৈধভাবে এডহকে ১৩৮ জন শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়োগ দেন। ফলে ঐদিন রাতেই শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক এই নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট সকলকে চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ক্যাম্পাসে এসে সরেজমিনে তদন্ত শেষে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটি।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বিদায়কালে এম আব্দুস সোবহান কর্তৃক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে কমিটি। যেখানে আব্দুস সোবহানকে প্রধান অভিযুক্ত ও তার জামাতাকে প্রধান সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যানা গেছে, মাত্র নয় জনের জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে সকলকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে বলেও তদন্তে উঠে এসেছে। তবে নিয়োগপ্রাপ্তরা ব্যক্তিগত ভাবে উপাচার্যকে সিভি দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
সাত কর্মদিবসের মধ্যে জমাকৃত এই তদন্ত প্রতিবেদন আব্দুস সোবহানের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞাসহ মন্ত্রনালয়ে নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করেছে এই কমিটি।
এছাড়া ৮ মে মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়োগ অবৈধ ঘোষিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিয়োগে যোগদান সংশ্লিষ্ট সকল প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করে প্রশাসন।