পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনসহ ৬ দাবি শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের
দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রশাসনে নন-একাডেমিক কর্মকর্তা নিয়োগ বাতিল ও ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ সংশোধনসহ ছয় দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারী, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত শিক্ষকদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগকৃত সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করে অধ্যাপকগণের মধ্যে থেকে পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা; বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান অসঙ্গতিসমূহ দূর করা; স্বনামধন্য অধ্যাপকদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন করা;
জাতীয় অধ্যাপক ও বরেণ্য শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ ও প্রথিতযশা অধ্যাপকদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের শূন্য পদে অনতিবিলম্বে নিয়োগ প্রদান করা; ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেলের পরে সৃষ্ট বেতনের সমতাবিধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য হতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ন্যূনতম ৫% সুপার গ্রেড নিশ্চিত করা;
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আলাদা সরকারি ফেলোশিপ/স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা ; গবেষণার জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা ও শিক্ষকতা পেশায় নিয়োগকালীন এবং পরবর্তীতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য অনার্জিত ইনক্রিমেন্ট সুবিধা পুনর্বহাল করা।
সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের যে কোষাধ্যক্ষ রয়েছেন তাকে ওএমআর মেশিন কী এবং কী কাজে লাগে তা বোঝাতে পাঁচ-ছয় মাস সময় লেগেছে এবং এই মেশিন কেনার টাকা বরাদ্দ করতে আরও পাঁচ-ছয় সময় লাগে।’