হাফিজ আত্মহত্যা করতে পারে না: বড় ভাই
নিখোঁজ হওয়ার ৯ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাওয়া গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের লাশ। আজ রবিবার (২৩ মে) রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছবি দেখে লাশটি শনাক্ত করেন তার বড় ভাই মাসুম।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা ধারণা করলেও তিনি বলছেন, এটি আত্মহত্যা হতো পারে না।
মাসুম আরও বলেন, হাফিজুর যেকোনো মানসিক সমস্যা কিংবা মদ্যপ অবস্থায় ছিল এটা আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না। পরিবারের সঙ্গে সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করে ক্যাম্পাসে গিয়েছে। এটা আত্মহত্যা হতে পারে না।
সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, যে আমার ভাইকে হত্যা করুক না কেন, সুষ্ঠ তদন্ত এবং বিচার চাই।
গত ১৫ মে ঈদুল ফিতরের পরদিন দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন হাফিজুর। কার্জন হল এলাকায় তিনি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন। রাত ৮-৯টার দিকে গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবেন বলে বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নেন। এরপর হাফিজের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
হাফিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-২০১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানায়। হাফিজ নিখোঁজের ঘটনায় তার মা সামছুন নাহার কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নং- ১২৮৩।