২২ মে ২০২১, ১৯:৩৬

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার আবেদন ঢাবি উপাচার্যের

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান  © ফাইল ছবি

দেশে চীন সরকারের উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা আগামী ২৫ মে থেকে প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। মেডিকেল শিক্ষার্থী, নার্সিং শিক্ষার্থী এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে যারা পড়াশোনা করছেন তারাই এই টিকা পাবেন। এ বিষয়ে মত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ শনিবার (২২ মে) গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আহ্বান জানান।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বেশি জরুরি। জীবনে বেঁচে থাকলে পড়াশোনা করা যাবে, সবকিছু করা যাবে। শিক্ষার্থীদের এখন ধৈর্য ধরা উচিত। শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নজরে আনার জন্য সরকার সংশ্লিষ্টদের কড়াভাবে নির্দেশনা দিয়েছে। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের কীভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরও বাড়তি কথা বলার সুযোগ নেই।

টিকার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, সামনে যে টিকা আসবে, সেটাতে সরকার যেন আমাদের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়, সে আবেদন করব। তারপর যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে অগ্রসর হতে সক্ষম হব।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, চীনের টিকা প্রয়োগ শুরু করবো ২৫ মে থেকে। এই টিকা আমরা দিচ্ছি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের। ইতোমধ্যেই আমাদের চিকিৎসক নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া শেষ হয়েছে। এখন বাকি আছে শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, ঢাবি শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত না করতে পারায় গত ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিল প্রশাসন। প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল বাছির জানান, সরকার চেয়েছিল অর্ধেক ছাত্রকে ভ্যাকসিন দিয়ে হলে ওঠানো হবে। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, সরকার যেভাবে চেয়েছিল সেভাবে শিক্ষার্থীদের নাম, তাদের তালিকা কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এখন টিকা প্রদানের বিষয়টি আমাদের নাগালের বাইরে।