১৮ মে ২০২১, ২৩:০৬

সবার প্রথমেই ঢাবি ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ করছে: ভিসি

ঢাবি ভিসি  © সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা প্রতারিত হয়েছেন। তখন ইসরায়েল স্বীকৃতি পেলেও ফিলিস্তিন স্বীকৃতি পায়নি। দ্বিতীয়বার প্রতারণার স্বীকার হয়েছে ১৯৬৭ সালে। আর এই প্রতিটি ঘটনায় ফিলিস্তিনিরা ভূমি ও নিরীহ মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। সে কারণেই বলা হয় ইসরায়েলি ‘অকুপেশন’।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজনের জন্য শিক্ষক সমিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছে কি-না জানি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার ইতিহাস-ঐতিহ্য মোতাবেক সবার প্রথমেই ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ করছে। এ কর্মসূচি আয়োজনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

মানববন্ধনে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করার কারণে ইতোমধ্যে ইসরায়েল একটি শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গাচ্ছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীসহ যারা এর পক্ষ নিয়েছে তাদের সবার প্রতি নিন্দা জানাচ্ছি। এটি কোনো ধর্মের বিষয় নয়, এটি মানবতার বিষয়। সবাইকে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।

সমিতির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর, মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের হামলা এবারই প্রথম নয়, তারা যখনই সুযোগ পেয়েছে হামলা-গণহত্যা করেছে। এবার তারা এমন এক সময়  আগ্রাসন চালাচ্ছে, যখন সারা বিশ্ব করোনায় বিপর্যস্ত। ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ইসরায়েলের এই আগ্রাসন রুখে দিতে সারা বিশ্বের মানুষকে জেগে ওঠার আহ্বান জানাই।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ইসরায়েল নিঃসন্দেহে মানবতাবিরোধী অপরাধী। তাদের মানবতাবিরোধী কাজের আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। তারা আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। পৃথিবীর কোনো আইনই তাদের পক্ষে কথা বলবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সবসময় নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের হয়ে কথা বলবে। আজ যদি মুসলান কর্তৃক অন্য ধর্মালম্বীদের ওপর আগ্রাসন চলত, তখনও আমরা প্রতিবাদ করতাম।