বশেফমুবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষের প্রত্যাহার চেয়ে ঢাবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতি
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) নন-একাডেমিক ব্যক্তিকে ট্রেজারার পদে নিয়োগের নিন্দা, প্রতিবাদ ও নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
আজ শনিবার (৮ মে) এক বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি বলছে, শুক্রবার (৭ মে) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যকর পরিষদের এক জরুরি সভা অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষকগণ গত ৫ মে অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে নিয়োগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে এই নিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়।
“উচ্চশিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় এসকল পদের ব্যক্তিরা উচ্চশিক্ষাকে যুগোপযোগীকরণ, শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও শিক্ষকদের গুণগত মানোন্নয়নের জন্য শিক্ষা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার কাজ করে থাকেন বিধায় শিক্ষা ও গবেষণায় সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষেই নিয়ত পরিবর্তনশীল উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব। এছাড়াও, ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের বিভিন্ন সভায় সভাপতিত্ব করে থাকেন।”
শিক্ষক সমিতি মনে করে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় পদে প্রচলিত রীতি ভঙ্গ করে একজন অতিরিক্ত সচিবের নিয়োগ রাষ্ট্রের অন্যান্য ক্ষেত্রের ন্যায় উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রেও আমলাদের পদায়নের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ যা শিক্ষক সমাজ কোনভাবেই মেনে নেবেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অবিলম্বে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত সচিবের নিয়োগ দেশ অনতিবিলম্বে বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্য থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদানের দাবি জানিয়েছে।