২ সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তুত হতে যাচ্ছে ঢাবির অনলাইন পরীক্ষার কৌশলপত্র

ঢাবি
ঢাবি  © ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে অনলাইনে সব বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ডিনস কমিটি। সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক নীতিনির্ধারণী আনুষ্ঠানিক ফোরাম শিক্ষা পরিষদ (একাডেমিক কাউন্সিল)৷তবে অনলাইন পরীক্ষায় সময় ও নম্বর দুটোই কমে যাবে। সে ক্ষেত্রে মূল্যায়নকৃত ফলাফলকে প্রচলিত পূর্ণমানে রূপান্তর করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হবে৷আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কৌশলপত্রটি জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা পরিষদের সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল৷এ ছাড়া অনলাইন পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷

বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা পরিষদের সভাটি ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়৷বুধবার ডিনস কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্তটিই অনুমোদন করেছে শিক্ষা পরিষদ৷

বৃহস্পতিবার শিক্ষা পরিষদের সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, ডিনস কমিটির সিদ্ধান্তগুলোই অনুমোদন করেছে পরিষদ৷ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় কৌশলগত কারণে প্রতিটি কোর্সকে একাধিক ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন ধরন বা পদ্ধতিতে পরীক্ষা (যেমন: বর্ণনামূলক সংক্ষিপ্ত আকারে, এমসিকিউ, কুইজ, অ্যাসাইনমেন্ট এবং ওপেনবুক পরীক্ষা) নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়৷

পরীক্ষার সময় ও মান কমানো হবে, তবে মূল্যায়নকৃত ফলাফলকে প্রচলিত পূর্ণমানে রূপান্তর করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হবে, ক্রেডিট অপরিবর্তিত থাকবে। এ ছাড়া কম্পিউটারভিত্তিক ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়া হবে৷ অন্যান্য ল্যাবভিত্তিক ব্যবহারিক পরীক্ষা যথাযথ নিয়মে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নেওয়া হবে৷

আরও পড়ুন

করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হলে অনলাইনে হবে ঢাবি’র পরীক্ষা

শিক্ষা পরিষদের সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ডিনস কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অনলাইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে৷ অনলাইন পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা ও পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তা সুনির্দিষ্ট করতে অনুষদগুলোর ডিন ও ইনস্টিটিউটগুলোর পরিচালকদের একটি কৌশলপত্র তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ দুই সপ্তাহের মধ্যে কৌশলপত্রটি জমা দিতে বলা হয়েছে৷ এ ছাড়া অনলাইন পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ তবে এর মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে প্রচলিত নিয়মে সশরীরেই পরীক্ষা-কার্যক্রম পরিচালিত হবে৷

 


সর্বশেষ সংবাদ