অ্যাডহকভিত্তিতে ১৪১, এভাবেও নিয়োগ দেয়া যায়!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. আব্দুস সোবহানের নিয়োগকৃত ১৪১ জনে চাকরির বৈধতার বিষয় সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। তার বিরুদ্ধে চাকরি বাণিজ্যের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ওই কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে শেষ কর্মদিবস ছিল আজ বৃহস্পতিবার। আজ তার বাসভবনের বাইরে চাকরিপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যেই চলছে নিয়োগ কার্যক্রম। অবশেষে যাওয়ার আগে অ্যাডহকভিত্তিতে শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশীকে নিয়োগ দিয়ে গেছেন উপাচার্য। তবে ইস্যুকৃত নিয়োগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম স্বাক্ষর করেননি বলে জানা গেছে। এক সহকারী রেজিস্ট্রারকে রেজিস্ট্রার বানিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রার আব্দুস সালামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলেও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়।
কিন্তু বিদায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে চাকরি বাণিজ্যের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় অবৈধ জনবল নিয়োগের বৈধতা প্রাপ্তির সুযোগ নেই এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. মো: আবু তাহেরচ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো: জাকির হোসেন আখন্দ ও ইউজিসির পাবলিক পরিচালক জনাব মোহাম্মদ জামিনুর রহমানকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাক্ষরিত ওই নিয়োগ তালিকায় ৮৫ জন উচ্চমান সহকারী, ১১ জন শিক্ষক ও ইমামসহ বেশ কয়েকজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীসহ ১৪২ জনের নাম রয়েছে। যদিও চাকরিতে যোগদানের চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা।
আরও পড়ুন
পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়লেন রাবি উপাচার্য
নিয়োগ বাণিজ্য: রাবি ছাত্রলীগের উপর মহানগর ছাত্রলীগের হামলা
বিদায়ের দু’দিন আগেও ‘অবৈধ নিয়োগ’ দিতে চান রাবি উপাচার্য!
এদিকে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ পাহারায় উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নিয়োগ নিয়ে কর্মচারী-কর্মকর্তাসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিচার্জে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।