বিস্ফোরণের মাধ্যমে নষ্ট করা হলো রাবিতে পাওয়া মর্টার শেলটি
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৩৯ PM , আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৫৩ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বধ্যভূমি এলাকা পাওয়া মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের মর্টার শেলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিস্ফোরণের মাধ্যমে নষ্ট করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ঝুঁকি এড়াতে ক্যাম্পাসের বদ্ধভূমির ফাঁকা মাঠে শেলটি বিস্ফোরিত করেন বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে আগত সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয় টিম।
শেলটি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লুৎফর রহমান জানান, দীর্ঘদিন মাটিতে পড়ে থাকায় শেলটি বিস্ফোরণের সম্ভাবনা খুব একটা ছিল না। তবে এর ভিতরের কিছু কিছু উপাদান এখন ভালোই ছিল। ফলে সম্ভব্য ঝুঁকি এড়াতে সেটাকে বিস্ফোরণের মাধ্যমে নষ্ট করেছে বোমা নিষ্ক্রিয় টিম।
শেলটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংগ্রশালায় সংরক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শেলটি সংরক্ষণ করা গেলে ভাল হতো। স্মৃতি হিসেবে থাকত। তবে শেলটি যেহেতু একেবারে নিষ্ক্রিয় নয়। সুতরাং ঝুঁকি আছে। ফলে সেটাকে নষ্ট করা হয়েছে।
তিনি জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেননা পাক-হানাদার বাহিনীর টর্চার সেল ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জোহা হল। সেখানে হানাদার বাহিনী বিভিন্ন অস্ত্র-সস্ত্র রেখেছিল এবং আশপাশের নারী পুরুষদের ধরে এনে সেখানে নির্যাতন করত। এমনি তাদের হত্যা করে বদ্ধভূমিতে পুঁতে রাখত। সেহেতু এই এলাকার মাটির নিচে এরকম আরো অনেক কিছু থাকতে পারে। সম্ভব হলে জরিপ করে টিমকে সেগুলোরও অনুসন্ধানের পরামর্শ দিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান।
এর আগে,মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে কৃষি প্রকল্পের খননকৃত পুকুরে মাটি তোলার সময় শেলটি পায় এক শ্রমিক। পরে তিনি বধ্যভূমিতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের জানালে তারা রাজশাহী র্যাব-৫ অফিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাজশাহী র্যাব-৫ এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানটি ঘিরে পর্যবেক্ষণ শেষে শেলটি উদ্ধার করেন এবং পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, মুক্তযুদ্ধ শেষে বিভিন্ন সময়ে বধ্যভূমির আশপাশের এলাকায় খননকার্য চালিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর ব্যবহৃত সামরিক ব্যাগ, হেলমেট, সামরিক বেল্ট, মগ, গুলির বাক্স ও ছুরিসহ নানা সরঞ্জামাদি পাওয়া গিয়েছিল। যার অধিকাংশই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত রয়েছে।