বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে ইজারাদার, শিক্ষকদের নিন্দা
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৩৫ PM , আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৩৫ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পুকুর খননের মাটি বিধিবহির্ভূতভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্রির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নব নির্বাচিত কমিটির শিক্ষকরা। শুক্রবার দুপুরে ১৬ সদস্যের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা প্রকাশ করেন শিক্ষকরা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানাে হয়, সামাজিক গণমাধ্যমেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং দেশের নানা পর্যায়ের মানুষ এ ব্যাপারে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। অথচ প্রশাসন এ প্রক্রিয়া বন্ধে বা উক্ত ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনাে ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত গ্রহণ করেনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং এর প্রতিটি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রশাসনের। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি দফতর যেমন- কৃষি প্রকল্প, এস্টেট এবং এরিয়া অফিসও রয়েছে।
জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ হরিলুট বা বিধিবহির্ভুতভাবে কারাে কাছে ছেড়ে দেয়া অথবা এমন কর্মকান্ডে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা নিশ্চিতভাবেই দুর্নীতি ও হরিলুটকে সমর্থনের শামিল। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রশ্রয় ও ইন্ধন রয়েছে এবং প্রকারান্তরে তারা এই ন্যাক্কারজনক কাজে জড়িত বলে জাতির কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তদন্তে প্রমাণিত দুনীতিবাজ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সােবহান তার দায়িত্বের শেষ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের চেইন-অব-কমান্ড সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছেন। কার্যত তিনি কর্তত্বহীন হয়ে পড়েছেন।
আইন প্রয়ােগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ রক্ষা করতে বাস্তবিক পক্ষে অদৃশ্য স্বার্থগত কারণে অবহেলা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান রক্ষার পরিবর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও নিয়ােগ-বাণিজ্য করার জন্য এডহক ভিত্তিতে কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সেখানে অবৈধ অর্থ লেনদেনের বিষয়টি জড়িত আছে বলে কথিত আছে।
মেয়াদের শেষ পর্যায়ে উপাচার্য তড়িঘড়ি করে করেনাকালীন ফাঁকা ক্যাম্পাসে এসব আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের উদ্রেক করছে বলেও জানান তারা।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন অন্যায় ও অন্যায্য কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। গত কয়েকদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি যে অবৈধ উপায়ে হরিলুট হচ্ছে তার বিরুদ্ধে কার্যকর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে পারার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধিক্কার জানানাের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ অবৈধভাবে হরিলুট বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।