বিভাগ প্রাঙ্গণে প্রস্রাব করায় মারধর, সেই ছাত্রলীগকর্মী বহিষ্কার
নিজের বিভাগ প্রাঙ্গণে প্রস্রাব করায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছেন একই সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক কর্মী। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এতে ওই কর্মীকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত ওই কর্মীর নাম সামিউজ্জামান সামি। বুধবার ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকায়’ তাকে বহিষ্কার করা হয়।
জানা যায়, মারধরকারী সামি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ.এফ রহমান হল ছাত্রলীগের কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী। সে আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, মারধরের শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক পুতুল চন্দ্র রায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুতুল চন্দ্র রায় ও তার সাথে থাকা আরেকজন আইন অনুষদের ভেতরে (মোতাহার হোসেন ভবন) একটি জায়গায় প্রস্রাব করছিলেন। তখন পাশেই জামান সামি ও তার কয়েকজন বন্ধু অবস্থান করছিল। সামি এসে তাদের বাধা দেন এবং একজনের কলার ধরে ফেলেন। পুতুল তার পরিচয় দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে সামি পুতুলের কপালে ঘুষি মারলে তার চোখের ভ্রুর কাছে ফেটে যায়। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন। ক্ষত স্থানে তার আটটি সেলাই লেগেছে।
পুতুলের অভিযোগ, সামিসহ দুইজন অতর্কিত তার ওপর হামলা চালায়। পরে প্রক্টরিয়াল টিম আসার পরে তারা হাতেনাতে ধরা পড়লে সাথে সাথে মারার বিষয়টিও অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য শীর্ষ নেতাদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে, অভিযুক্ত সামির বক্তব্য জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার এক বন্ধু রিসিভ করেন। ‘সামি কথা বলতে চাচ্ছে না’ বলে জানায় ওই বন্ধু।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ‘শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে’ বলে জানান। পরে সামিকে বহিষ্কারের নোটিশ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার একটি ব্যাপার থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। কোনো পক্ষই ঠিক কাজ করেনি। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সকলকে গভীর রাতে অপ্রয়োজনে চলাচল না করার পরামর্শ দিচ্ছি।