নীলক্ষেত থেকে শিক্ষার্থীদের সরে যেতে বলেছে পুলিশ

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর নীলক্ষেত থেকে আন্দোলনরত সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সরে যেতে বলেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়। পরে দুপুর ১টায় পুলিশ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করার আহবান করেন। শিক্ষার্থীরা এ আহবানের সাড়া না দিলে একশনে যেতে বাধ্য হবেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিষয়টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‍উপচার্য স্যারও থাকবেন। সেখানে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি বলেন, এ ঘোষণার পর আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত মোড় থেকে সরে যেতে বলেছি। শিক্ষার্থীদের এ অবরোধের কারণে রাজধানীর সব সড়কে যানচলাচন স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছি, তারা যেন অতিদ্রুত এ জায়গাটা ছেড়ে দেয়।

তবে দাবি বাস্তবায়ন ছাড়া রাজপথ ছাড়বে না বলে জানিয়েছে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুস শাহাদাত সাকিব বলেন, পরিস্থিতিতে যাইহোক, আমরা নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েই দাবি আদায় করবো। আমরা নীলক্ষেত ছাড়তে রাজি নই। আশ্বাসে বিশ্বাস করতে পারছি না। আমরা একমাত্র চূড়ান্ত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত পেয়ে তারপর ঘরে ফিরবো।

সাজ্জাদুর রহমান বলেন, যেহেতু শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে আলোচনা আহবান করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষেই যেতে পারে। সভার সিদ্ধান্ত আসার পরেও তাদের আন্দোলনে অনর্থক। তাদের উচিৎ রাস্তা ছেড়ে দেয়া। অন্যথায় পুলিশ একশনে যেতে বাধ্য হবে। এতে শিক্ষার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমরা চাই না কোন শিক্ষার্থী আঘাতপ্রাপ্ত কিংবা গ্রতিগ্রস্থ হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণার পর রাজধানী ঢাকার নীলক্ষেতে বিক্ষোভ করেন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে আজ বুধবার সকালে দ্বিতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে রাতে বিক্ষোভ কর্মূচি স্থগিত করেন তারা। সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের অবরোধে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

নীলক্ষেত মোড় অবরোধ কর্মসূচিতে আসা শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা নীলক্ষেত মোড়ে দাঁড়িয়েছেন। দেশের সব মার্কেট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শুধু মাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তাঁদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিতে ঠেলে দিচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ