১৭ মে’র আগে ঢাবিতে বড় কোন পরীক্ষা হবে না: উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৪০ PM , আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৫৪ PM
১৭ মে থেকে হল খোলার সরকারি সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় কোন নিয়মিত পরীক্ষা হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান নিশ্চিত করবে ১৭ মের পূর্বে। শিক্ষামন্ত্রীও একথা বলেছেন। সে কারণে ১৭ মে থেকে শিক্ষার্থীদেরকে আবাসিক হলে ওঠানোর উদ্যোগ নেব। প্রথম ডোজের চার সপ্তাহ পরে তারা শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারে। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে যাতে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে টিকা প্রদান নিশ্চিত করা হয়, আমরা সে অনুরোধ করেছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘হলে ওঠার প্রস্তুতি নিতে দুই সপ্তাহ সময় লাগে। সেজন্য অনুষদ ও বিভাগ সমন্বয় করে ১৭ মে’র দুই সপ্তাহ পর থেকে পরীক্ষা ও স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। আগে ১৩ মার্চ পর্যন্ত যে রুটিন ছিল তা আর থাকছে না। কারণ এগুলো শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার সঙ্গে সম্পৃক্ত। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৩ মার্চকে কেন্দ্র করে যে পরীক্ষাগুলোর ঘোষণা ছিল, সেগুলো থাকবে না। এগুলো স্থগিত করা হলো।’
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে বড় কোন পরীক্ষা এখন নেব না। বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের সম্মতি, সামর্থ্য ও সুরক্ষা লাগবে। এখন হল খোলার জন্য টিকা নেওয়া পূর্বশর্ত। এ বিষয়গুলো এখন একেবারেই বিভাগীয় পর্যায়ে সীমিত থাকবে।’
সাত কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘সাত কলেজের পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রেও ১৭ মে’র পূর্বের পরীক্ষাগুলো আমাদের অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় কোন পরীক্ষা থাকবে না। সরকারের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রেটোকল আছে। সেটি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। এটা সরকারের প্রায়োরিটি।’
হল খোলার জন্য শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা সবসময় যৌক্তিক অবস্থানে থাকে। নিয়ম শৃঙ্খলা অনুসরণ করে। যখন তাদেরকে সুরক্ষা দেওয়ার মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের সুরক্ষা দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের মূল্যবোধ ও আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাবোধের ঘাটতি নেই। তাদেরকে ভালোভাবে বোঝালে আশা করি তারা বিষয়টি বুঝবেন। পিছিয়ে যাওয়া সময় পুষিয়ে দেওয়ার প্রায়াস আমাদের থাকবে।’