জাবির হলে তালা ঝুলিয়ে দিল প্রশাসন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনার পর তালা ভেঙে আবাসিক হলে ঢুকেছিলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সরে যাওয়ার পরপরই হলগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে প্রবেশ করার পর হল ছেড়ে গেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে বেশ কয়েকটি হলে দফায় দফায় তালা ভাঙা ও ঝুলিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুস সালাম মিঞা স্বাক্ষরিত সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মিছিল, জমায়েত, আবাসিক হলের তালা ভাঙা; সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সকলকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে।
এর আগে আবাসিক হল খুলে দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- হল খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ফটক নির্মাণ করা।
এসময় দুটো দাবি মেনে নিলেও হল খোলার ব্যাপারে ‘রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা’ ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব না বলে শিক্ষার্থীদের জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান। প্রক্টরের এই ঘোষণার পরেই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন। তবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সরে যাওয়ার পরেই আবারো হলগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসন।
হল প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙেছে। তবে আমরা জেনেছি তারা হলে অবস্থান করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক চলছে, এরপরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আমরা পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।