শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে চবিতে মানববন্ধন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছুটি না বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ছয় দফা সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের সবকিছু সচল রয়েছে। এভাবে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিরাট সেশনজটে পড়ে যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশে ভ্যাকসিন চলে এসেছে, করোনাও কমে আসছে। তাই আমরা সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার আবেদন জানাচ্ছি, কোভিডের দোহাই দিয়ে আর সাধারণ ছুটি না বাড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দিয়ে নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার আহবান জানান তারা।
ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আরজু আহমেদের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবন্ধী ছাত্রসমাজের (ডিসকু) সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা। দর্শন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি কানন এবং ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শিহাবসহ আরও অনেকে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরযুক্ত সম্মিলিত একটি দরখাস্ত পেয়েছি। করোনা পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার চিন্তা করছি।
শিক্ষার্থীদের ছয়দফাগুলো হলো-
১. অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলসমূহ খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা, যাতে সকল শিক্ষার্থীরা সৃষ্ট আবাসিক সংকট হতে উত্তরণ লাভ করতে পারে এবং পুনরায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
২. শিক্ষা কার্যক্রম ব্যতীত দেশের সর্বত্রই নিয়মিত ও স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস করার অনুমতি প্রদান করা।
৩. দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাস গুলো শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করে পর্যায়ক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪. সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বিবেচনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে সশরীরে ক্লাস করার অনুমতি প্রদান করা।
৫. সেশন জট নিরসনের জন্য সর্বোপরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৬. শাটল চলাচল বন্ধ হওয়াতে বেশীরভাগ শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। তাই, উক্ত সমস্যা নিরসনে 'ফ্রী বাস সার্ভিস' চালু করা।