শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়েই গণরুমে আসে: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুম এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুম এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান  © ফাইল ফটো

গণরুম প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘মহামারী থাক বা না থাক, শিক্ষার্থীদের এ ধরনের জীবনমান প্রত্যাশিত নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া একজন মেধাবী শিক্ষার্থী এ ধরনের জীবনযাপন করবে, যেটিকে কথিত গণরুম বলছি, এটি প্যানডেমিকের জন্যই যে বাতিল করতে হবে সেটি নয়- এ ধরনের জীবনমান হতে পারে না।’ শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের ফেসবুক লাইভে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এ ধরনের রুম দীর্ঘদিন যাবত ছিল, আমাদের সময় প্রতিটি হলে পাঁচটি থেকে সাতটি গণরুম ছিল, যেখানে অনেক শিক্ষার্থী থাকে। উপায় না পেয়ে আমাকেও শিক্ষাজীবনের শুরুতে এ ধরনের রুমে একবছর কাটাতে হয়েছে। সিট পাওয়া যায়নি, ঢাকাতে থাকারও অবস্থা নেই। মেসে বা অন্যত্র থাকার সামর্থ্যও নেই। ফলশ্রুতিতে কষ্ট করে হলেও এ ধরনের কক্ষে শিক্ষার্থীরা থাকে। এতে তার জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘এমনটা প্রকাশিত হতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে। এখন আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এক্ষেত্রে ছাত্র সংগঠনগুলোর ভূমিকা মূখ্য। হল প্রশাসন থেকে কখনো শিক্ষার্থীদেরকে এ ধরনের কক্ষে আনা হয় না। শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে সেখানে আসে। তখন তাদেরকে বের করে দেওয়াটাও মানবিকতার মধ্যে পড়ে না। আমরাও তো প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এভাবে এসেছিলাম। তখন আমাদেরকেও এতে উঠতে হতো। ভাবতাম, আমরা তো হলে আছি।’

ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘তাদের তাদের ডেস্ক নেই, ঘুমানোর পরিবেশ নেই। এগুলো আমাদেরকে ব্যথিত করে, এটি চলতে পারে না। এটি খুবই মানবেতর জীবনযাপন। এ বিষয়ে আমরা ছাত্র সংগঠনগুলোর সহযোগিতা চেয়েছি। নতুন হল ও ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। হল প্রশাসনকে বলেছি, যারা শিক্ষার্থী তারাই শুধু রুমগুলোতে থাকবে। এক্ষেত্রে ছাত্র সংগঠনগুলোর কার্যকর ভূমিকা লাগবে, সহযোগিতা লাগবে।’


সর্বশেষ সংবাদ