২৯ জানুয়ারি ২০২১, ১০:০৫

শাস্তির বিরুদ্ধে রিট করবেন ঢাবি শিক্ষক সামিয়া রহমান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান  © সংগৃহীত

গবেষণা ও পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতি প্রমাণ হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় ট্রাইব্যুনালের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এ শাস্তির সিদ্ধান্ত না মেনে হাইকোর্টে রিট করবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান।

তাকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে অবনমন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সামিয়া রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি রিট করবো। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত করে এ ধরনের কোনো প্রমাণ পায়নি। ট্রাইব্যুনাল বলেছিল যে ,আমি এটার সঙ্গে জড়িত না। আমি সব কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম।’

শাস্তি পাওয়া অপর দুই শিক্ষক হলেন, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ওমর ফারুক। এরমধ্যে মাহফুজুল হককে শিক্ষা ছুটি শেষে যোগদান করার পর দুই বছর লেকচারার হিসেবেই থাকতে হবে। আর পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতি করায় ওমর ফারুককে সহকারী অধ্যাপক থেকে লেকচারার পদে অবনমন এবং ডিগ্রী বাতিল করা হয়েছে।

বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করে সিন্ডিকেট সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জামান বলেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে থিসিসে জালিয়াতি করায় তার ডিগ্রি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া তাকে লেকচারার পদে অবনমন করা হয়েছে। আর সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে অবনমন করা হয়েছে। এছাড়া মারজানকে আগামী দুই বছর পদোন্নতি থেকে বিরত রাখা হয়েছে।