স্মার্টফোন কিনতে রাবির ৬৮৬ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন ইউজিসির ঋণ
করোনাকালীন অনলাইন শিক্ষার জন্য স্মার্টফোন (মোবাইল) কিনতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) শিক্ষা ঋণ পাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী। আগামী রবিবার (৩১ জানুয়ারি) শিক্ষার্থীদের খোলা অগ্রণী ব্যাংক একাউন্টে ৮ হাজার টাকা করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা সুদবিহীন এই ঋণ এককালীন বা সমান চার কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত হিসাব পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হাসেন আহমেদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো প্রায় চার হাজার ১০০ জনের মতো অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর তালিকা ইউজিসিতে প্রেরণ করেছিল। পরে ৮০২ শিক্ষার্থী ঋণ পেতে আবেদন ফরম পূরণ করে। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে অনেকের রোল, নাম এবং বর্ষ ভুল থাকায় তারা বাদ পড়েছে। আমরা ৬৮৬ জনের তথ্যে কোনও ভুল পাইনি। আগমী ৩১ জানুয়ারি আমরা এসকল শিক্ষার্থীর ব্যাংক একাউন্টে ঋণের টাকা পাঠিয়ে দেবো।
উত্তোলণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা চেকের মাধ্যমে দেশের যেকোনো অগ্রণী ব্যাংক শাখা থেকে এই ঋণের টাকা উত্তোলণ করতে পারবে।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর করোনাকালীন অনলাইন শিক্ষার জন্য স্মার্টফোন কিনতে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ৩৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন অস্বচ্ছল শিক্ষার্র্থীকে বিনা সুদে ৮ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইউজিসি। ইউজিসির তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ঋণ পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে গত ১৫ ডিসেম্বর আবেদন ফরম পূরণের নির্র্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে চার হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে আবেদন ফরম পূরণ করে মাত্র ৮০২ শিক্ষার্থী।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, যেহেতু অন্যান্য শিক্ষার্থীরা আবেদন ফরম পূরণ করেনি সেক্ষেত্রে আর কিছু করার নেই। তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়াটা শিক্ষার্থীদের জন্য জটিল করে ফেলেছে। শিক্ষার্থীরা যদি বাসায় বসে অনলাইনে আবেদন সম্পূর্ণ করতে পারত তাহলে তাদের জন্য উপকার হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে বাড়তি খরচ হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এজন্য হয়তোবা কম আবেদন জমা পড়েছে।