জবির পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুলে নিয়োগের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পোগজ ল্যাবরেটরি স্কুল
পোগজ ল্যাবরেটরি স্কুল  © ফাইল ফটো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগের নামে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে।

ঢাকার সদরঘাট এলাকায় ১৮৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রাচীন এই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক এই অভিযোগ এনেছেন।

তারা জানান, ইউজিসি থেকে নিবন্ধন করার কথা বলে নন-এমপিও শিক্ষকদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কাছ থেকে ১১ হাজার এবং সকল কর্মচারীর কাছ থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মনির হোসেন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. শরিফুল আলম।

পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, আমরা যদি সরাসরি মুখ খুলি তাহলে আমাদেরকে যেকোনো সময় মেরে ফেলা হতে পারে। আর চাকুরী হারানো নিশ্চিত।

তিনি বলেন,  গত বছর নভেম্বরে  ৫০জন নন এমপিও শিক্ষকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার করে এবং এমপিও ৮/১০ জন শিক্ষকদের কাছ থেকে ১১ হাজার করে টাকা নিয়েছেন পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক। তাদের অধীনে আমরা চাকরি করি। কেউ যদি এ নিয়ে কথা বলি তাহলে তাকে বের করে দিবেন৷ একটু অপরাধ হলেই তারা যখন তখন বের করে দেন।

এই বিষয়ে পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মনির হোসেন বলেন, ন আগে এই অভিযোগ উঠেছিলো। পরে আমি স্কুলে এসে তদন্ত করেছি, কিন্তু সবাই  অস্বীকার করেছেন৷ আর যদি কেউ এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।  আমার  কাছে এই বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তাছাড়া আমি প্রত্যেক শিক্ষককেই  জিজ্ঞাসা করেছি। চাইলে আপনারাও করতে পারেন।

শিক্ষকেরা ভয়ে মুখ খুলতে চান না বললে তিনি বলেন, তাদের  চাকুরী তো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। চাকুরীর ভয় কিসের তাদের। এই প্রতিষ্ঠানকে যতটুকু দাঁড় করিয়েছি তা অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে। ফলে এ ধরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ অবান্তর ও মিথ্যা।

পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. শরিফুল আলম  বলেন, আমি তো স্কুলের কিছুই না। এইসব ব্যাপারে আমি মাথা ঘামাই না এবং এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না৷ স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাজ হলো রুটিন করা। এছাড়া আর কোনো কাজ নেই। আর এই সমস্ত টাকা পয়সার বিষয় আমার ইখতিয়ারের বাইরে। কেউ যদি এগুলা বলে থাকে তাহলে এগুলা শত্রুতার  বশে বলেছেন। কেউ যদি এটা প্রমাণ করতে পারেন যে আমি কারো কাছ থেকে দুই আনা পয়সাও নিয়েছি তাহলে আমি এই স্কুলে আর চাকুরীই করবো না।

এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুলের গর্ভনিং বডির সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্বদ্যিালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা যেহেতু আর্থিক ব্যাপার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। শীঘ্রই একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ