‘বিএনপির ভোটারবিহীন নির্বাচনী আন্দোলনে ঢাবির বিরাট ভূমিকা ছিল’

  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। তাদের এই প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, এমনকি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থেকে বিএনপি যে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিল সেই আন্দোলন যখন শুরু হয় তখন ঢাবি বিরাট ভূমিকা রাখে। যার ফলে মাত্র দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়। এরপর জুনের ১২ তারিখে নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণাকালে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাষার অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার, সর্বোপরি স্বাধীনতা আন্দোলন সবকিছুর সূতিকাগার এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাঙ্গালীর প্রতিটি ইতিহাসের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জড়িত। এটা নিচক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটা এমন একটা প্রতিষ্ঠান যেটি আমাদেরকে সকল অর্জনের পথ দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করেছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। তমুদ্দিন মজলিস ও সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদে ছিল তার অংশগ্রহণ। এমনকি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের অধিকার আদায়ে কর্মচারী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তিনি বহিষ্কারও হয়েছিলেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিলো। কিন্তু ঘাতকের নির্মম আঘাতে বঙ্গবন্ধুকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল। যেটি এই জাতির জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় এই প্রতিষ্ঠানে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলো অস্ত্রের ঝনঝনানি, ছিলো না শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাগুলি হয় না, নেই কোনো অস্ত্রের প্রদর্শনী। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সামাদ, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।


সর্বশেষ সংবাদ