নিয়োগ স্থগিতের দাবি, উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম

সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার দ্রুত অপসারণের দাবিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে ‘সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বিরোধী’ মঞ্চ। এসময় তাদের অপসারণ না করা পর্যন্ত বিশ্বিবদ্যালয়ের সকল নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানান মঞ্চের নেতারা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এছাড়া রাকসু ও রেজিস্ট্রার গ্রাজুয়েট নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেট পূর্ণাঙ্গ করার পাশাপাশি আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে লাগাতার কর্মসূচির হুশিয়ারী দেয়া হয়েছে।

ছাত্র ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, আমরা বিভিন্ন জাতীয় ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি- রাবির অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে গঠিত ইউজিসির তদন্ত কমিটি সরেজমিনে দুই দফা তদন্ত করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২৫টি অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি ২০ ও ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, শিক্ষামন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছে। পরবর্তীতে রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করলেও প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও উপাচার্য, উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। যা আমাদেরকে আশাহত করেছে।

লিখিত বক্তব্যে মিলন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, মানবিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জ্ঞান বিকাশের প্রাণ কেন্দ্র। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়েই যদি দুর্নীতি চলে এবং দুর্নীতিবাজরাই ক্ষমতায় থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রকৃত স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলবে।

শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারেনা। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে যেমন আমরা তা মেনে নিতে পারি না, তেমনি দেশের কোন মানুষ এই অপরাধকে সহ্য করবেন না। ফলে আমরা আচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে ক্রিয়াশীল ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রাকিব হাসান, রাকসু আন্দোলর মঞ্চের পক্ষে আলহাজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং রেজিস্ট্রার এম এ বারীর বিরুদ্ধে আনীত অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ফলে গত ডিসেম্বর ১০ ও ১৩ তারিখে রেজিস্ট্রারকে অপসারণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ কর্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ডজন খানেক চিঠি দেয়া হয়। ফলশ্রুতিতে রেজিস্ট্রার এম এ বারী গত ২৬ ডিসেম্বর শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে স্বীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেন।


সর্বশেষ সংবাদ