মারধরের শিকার সেই ছাত্রলীগ নেত্রী নিরাপত্তা চাইলো প্রক্টরের কাছে
ছাত্রলীগের সিনিয়র দুই নেত্রী দ্বারা মারধরের শিকার হওয়া সংগঠনটির আরেক জুনিয়র নেত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলের সদ্য সাবেক এজিএস ফাল্গুনী দাস তন্বী এবার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে চিঠি দিয়েছেন। তাঁকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রক্টর।
এ বিষয়ে তন্বী মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চিঠিতে আমি গত ২১ ডিসেম্বরের ঘটনাটি তুলে ধরেছি। আমাকে মারধর করা জিয়াসমিন ও বেনজীর ছাড়াও মারধরে সহযোগী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা শাহজালালের নাম উল্লেখ করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছি। প্রক্টর সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আগে প্রক্টরকে ঘটনাটি লিখিতভাবে অবহিত করার অংশ হিসেবেই এই চিঠি দিয়েছি।’
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘তন্বী নিরাপত্তাবিষয়ক পত্রটি পেয়েছি। তাঁকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। চিঠি গ্রহণের পরপরই তন্বীকে কিছু জরুরি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে তাঁকে দ্রুত সহায়তা করা হবে। এছাড়া দুজন সহকারী প্রক্টরের সঙ্গে তাঁকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কোনো কিছু সন্দেহজনক মনে হলে আমাদের জানাতে বলেছি। শিক্ষার্থীদের কেউ জড়িত থাকলে আমরা (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) আমাদের মতো করে ব্যবস্থা নেব। আর বাইরের কেউ হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মারধরের ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ আনুষ্ঠানিক কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করেনি। তবে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত করছেন।
গত ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ার এলাকায় ওই মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধর করার অভিযোগ ওঠা দুই নেত্রী হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা।