স্যার এ এফ রহমানের জন্মদিন আজ, ঢাবিতে নেই কোনো আয়োজন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৩০ PM , আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৫৪ PM
স্যার এ. এফ. রহমান এর পুরো নাম আহমেদ ফজলুর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রথম বাঙালি উপাচার্য। প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক ও বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদের ১৩১তম জন্মদিন আজ। ১৮৮৯ সালের এইদিনে (২৮ ডিসেম্বর) তিনি পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার আদি পিতৃ-ভিটা ফেনী জেলায়। তার পিতার নাম মৌলবী আব্দুর রহমান।
তবে ঢাবির প্রথম বাঙালি এই উপাচার্যের জন্মদিনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি। তাঁর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আবাসিক (স্যার এ. এফ. রহমান) হলও রয়েছে। সেখানেও কোন আয়োজন করা হয়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে স্যার এ. এফ. রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জন্মদিন উপলক্ষে আজ কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল না। তবে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠান করা হবে।
এ. এফ. রহমান ছিলেন একাধারে একজন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। ১৯৩৪ সালের ১ জুলাই তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের’ উপাচার্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
ফজলুর রহমান স্কুলজীবন হতেই তার মেধার দূত্যি ছড়িয়েছিলেন। তিনি জলপাইগুড়ি জিলা স্কুল থেকে ১৯০৮ সালে বৃত্তিসহ প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) ইতিহাসে ডিগ্রী লাভ করেন। এর পরে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে তিনি দুই বছর গবেষণা করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘পলিটিক্যাল ইকোনমি’।
ইংল্যান্ড থেকে বাড়ি ফিরে ১৯১৪ সালে এবং ‘আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ এর ইতিহাস বিভাগে লেকচারার হিসাবে যোগ দেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের একজন সদস্য হিসাবে স্যার এ. এফ. রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাঙালী ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এর প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর পি. জে. হার্টগ-এর অনুরোধে স্যার এ. এফ. রহমান ইতিহাস বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক পদে যোগ দেন। পরবর্তীতে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হলের (বতর্মানে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল) প্রথম প্রভোস্ট হিসাবে নিযুক্ত হন।
স্যার এ. এফ. রহমানের দক্ষতা ও সক্ষমতায় খুশি হয়ে ব্রিটিশ সরকার ১ জুলাই ১৯৩৪ সালে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে নিযুক্ত করেন। তিনি সফলতার সাথে ১৯৩৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৩৭ সালে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করা হয়। ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজকীয় খেতাব ‘নাইটহুড’ সম্মাননায় ভূষিত করে। ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৫ সালে এ বিদ্যান পরোলোগ গমন করেন।