দাবি আদায়ে সাত দিনের আল্টিমেটাম
সনদপত্র থেকে ‘Affiliated/Constituent’ শব্দ বাদ দিয়ে পূর্বের সনদপত্র বহাল, সকল বর্ষের ফলাফল সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার নীলক্ষেত মোড়ে শিক্ষার্থীদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি স্থগির পর সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা তাদের দাবি আদায়ে কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের সময় বেঁধে দেন।
সাত কলেজ আন্দোলনের আহবায়ক ও সরকারি তিতুমীর কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ সোহাগ বলেন, প্রশাসন থেকে অনুমতি পাওয়ার পরেও আমরা বিভিন্ন বাধার কারণে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান করতে পারিনি। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে কবি নজরুলের অধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে আমরা সাক্ষাত করি এবং তার কাছে আমাদের দাবির বিষয়গুলো তুলে ধরি।
সোহাগ বলেন, বিশেষ করে আমরা আমাদের ফলাফল বিপর্যের বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে বলেছি। স্যারের আমাদের বিষয়গুলো শুনেছেন। পরে আমরা আমাদের দাবি আদায়ে সাত দিনের সময় বেঁধে দেই। আমরা বলেছি, আগামী বুধবারের মধ্যে দাবি আদায় না হলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ফের কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবিগুলো হল-
* ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ২.০০/২.২৫/২.৫০ পয়েন্টে পরবর্তী বর্ষে প্রমোটেড নিয়ম বাতিল করতে হবে।
* ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সর্বনিম্ন ৩ বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্যদের প্রমোটেড দিতে হবে।
* সনদপত্র থেকে ‘Affiliated/Constituent’ শব্দ বাদ দিয়ে পূর্বের সনদপত্র বহাল রাখতে হবে।
* অনার্স ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ২য় বর্ষের ইম্প্রুভ পরীক্ষা ১ মাসের মধ্যে নিতে হবে এবং ৩য় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অতিদ্রুত নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
* অনার্স ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থীদেরও অতিদ্রুত পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
* সকল বর্ষের ফলাফল সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। একটি বর্ষে একের অধিক সেশনের শিক্ষার্থী রাখা যাবে না।
* ডিগ্রি ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের চলমান বিশেষ পরীক্ষা অতিদ্রুত নিয়ে ১ মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে এবং সকল বর্ষের ফলাফল গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণসহ খাতা পুনঃমুল্যায়ন করতে হবে।
এ বিষয়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আমাদের কাছে এসেছে। আমরা তাদের কথা শুনেছি। ঢাবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে শিগগিরই সমস্যার সমাধান করা হবে।