এ দেশের মুসলমানরা আরবি ভাষাকে হৃদয়ে স্থান দিয়েছেন: ঢাবি উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:১৯ AM , আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:১৯ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও সর্বত্র ব্যাপক আরবি চর্চা হয়ে থাকে। এ দেশের মুসলমানরা আরবি ভাষাকে তাদের ধর্ম ও কর্মের ভাষা হিসেবে হৃদয়ে স্থান দিয়েছেন।
বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাবির আরবি বিভাগের আরবি ভাষা শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্যোগে ‘বিশ্বভাষা হিসেবে আরবির গুরুত্ব ও এর চর্চায় বাংলাদেশের অবদান’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
রোববার(২০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উপাচার্য বলেন, মুসলমানরা ইসলামকে বাস্তব জীবনে অনুসরণ করে শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে জীবনযাপন করে থাকেন। শহর-নগর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সহজ-সরল মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ইসলামী মূল্যবোধ ধারণ করে থাকেন।
শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউছুফের সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইবন ইউসূফ আদ্-দুহাইলান, ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, জর্ডানের অধ্যাপক বাস্মাহ তোলায়লান আস্-সালাম, মরক্কোর অধ্যাপক হুদা আমারাহ, তিউনিসিয়ার অধ্যাপক ওয়াফা আয্-যুহাইলী, সুইডেন প্রবাসী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত জুদ্দা আব্দুল্লাহ ও কিরগিজস্তানের ড. সাইয়ে্যদ ইজ্জত আবুল ওয়াফা। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবি আরবি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল-মারুফ।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, আরবী কুরআন-সুন্নাহর ভাষা। মহানবী (স)’র বাণী ছিল খুবই অর্থব্যঞ্জক অথচ সংক্ষিপ্ত। এ ভাষায় অহী নাযিল হওয়ার স্থান সৌদি আরব হওয়ায় আমরা গর্ব অনুভব করি। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্ক বিদ্যমান। জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে আরবী স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে এ ভাষা আগে থেকেই জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতির বাহন ছিল।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জর্ডানের অধ্যাপক বাস্মাহ তোলায়লান আস্-সালাম, মরক্কোর অধ্যাপিকা হুদা আ‘মারাহ, তিউনেশিয়ার অধ্যাপিকা ওয়াফা আয্-যুহাইলী, সুইডেনে প্রবাসী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত জনাব জুদ্দা আব্দুল্লাহ ও কিরগিস্তানের ড. সাইয়্যেদ ইজ্জত আবুল ওয়াফা।