৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১০ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অতি দ্রুত সময়ে অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি প্রদান করেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থীরা ৪৩তম বিসিএস পাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু আবেদনের শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি হওয়ায় আমরা এখন অংশগ্রহণ করতে পারবো না। তাই ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হোক।
তাদের যুক্তি হলো, যদি ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থীরা ৪৩তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করতে না পারে তাহলে আমাদের জীবন থেকে এক বা দেড় বছর চলে যাবে। কেননা ৪৪তম বিবিএসের সার্কুলার ২০২২ সালের আগে হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাই ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থীরা ৪৩তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করতে শিক্ষার্থীরা এই দাবি জানিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, যেখানে ৪০তম বিসিএসের রিটেন ও ৪১তম বিসিএসের প্রিলিই হয়নি, আর ৪৩তম বিসিএস এর জন্য নতুন কোনো ব্যাচের ফাইনাল পরীক্ষাই হয়নি সেখানে ৪৩তম এর আবেদনের শেষ সময় জানুয়ারিতে রাখার কোনো মানে হয় না।
অবিলম্বে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ইনকোর্স পরীক্ষাসহ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং বিসিএস সহ সকল ধরনের চাকরি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়ার কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আন্দোলনকারীরা।
মানববন্ধনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী স্নিগ্ধা দেবনাথ বলেন, ‘চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা যাদের হয়ে গেছে, তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে। আমাদের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, করোনার কারণে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শেষ করতে পারিনি। যার কারণে আমরা ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষাটি ধরতে পারছি না। এটি নিয়ে আমরা খুবই হতাশায় ভুগছি, প্রশাসন যদি আমাদের এই বিষয়টি মানবিকভাবে দেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেয় এবং সরকারও যদি বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করে, তাহলে হতাশার জায়গাটি কাটিয়ে উঠতে পারবো।’
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী জাবেদ কায়সার বলেন, ‘পিএসসির প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে যে, পরীক্ষার আবেদনের সময় ৩১ জানুয়ারি থেকে বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ছয় মাস থেকে সাত মাস বৃদ্ধি করে, এটাই আমাদের চাওয়া।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার জন্য শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নির্ধারিত সময়ে স্নাতক শেষ করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার প্রকাশ করা হয়েছে। পিএসসির কাছে আমাদের দাবি থাকবে আবেদনের সময়সীমা যাতে গ্রহণযোগ্য সময় পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও যেন বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের জন্য দ্রুত সময়ে পরীক্ষা নেয় অথবা অন্য উপায়ের কথা চিন্তা করে।’