মাদকসেবীকে ছাড়াতে সাবেক ডাকসু নেতার তদবিরের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভবন ও ঢাবির লোগো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভবন ও ঢাবির লোগো  © টিডিসি ফটো

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুই মাদকসেবীকে হাতেনাতে আটক করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিমের সদস্যরা।

আটককৃতদের নিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে ছেড়ে দিতে তদবিরের অভিযোগ উঠেছে ডাকসু’র সদ্য সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকতের বিরুদ্ধে। গ্রেফতারকৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ ও সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৯টার দিকে টিএসসির অতিথি কক্ষের সামনের সিঁড়িতে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে গাঁজা খেতে দেখা যায়। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলে তৎক্ষণাৎ প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার সময় টিএসসির ফটকের সামনে সৈকত ও তাঁর সঙ্গীরা আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রক্টরিয়াল টিম সৈকতের অনুরোধ প্রত্যাখান করে।

তবে তদবিরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তানভীর হাসান সৈকত। বিষয়টা এ রকম নয় মন্তব্য করে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গতকাল আমি আমার প্রোগ্রাম শেষ টিএসসির দিকে ছিলাম তখন দেখি প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিমের সাথে কিছু লোকের কথা কাটাকাটি হচ্ছে তখন আমি সেখানে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করি। তবে পরে যখন জানতে পারি তারা মাদকসেবী তখন আমি আমার অনুরোধ থেকে সরে আসি!

সন্ত্রাস, মৌলবাদের বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিরুদ্ধবাদীরা এরকম অভিযোগ এনেছে বলে মনে করেন সৈকত।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, ভুক্তভোগীরা আমাদের শিক্ষার্থী। ওদের মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তাদের নিজ নিজ বিভাগে জানানো হবে এবং তাদেরকে কাউন্সিলিংয়ের আওতায় আনা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ