ঢাবিতে বিশ্ব দর্শন দিবসের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
অন্যান্য বছরগুলোতে বর্ণিল আয়োজনে বিশ্ব দর্শন দিবস পালন করা হলেও বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে এ বছর ততোটা রঙ পাচ্ছে না অনুষ্ঠানটি। তবে বাদ যাবে না এ উপলক্ষে আয়োজন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দিবসটি উদযাপন করা হবে।
করোনার (কোভিড-১৯) কারণে এবারের দর্শন দিবস ২০২০ এর আয়োজন করা হয়েছে অনলাইনে। এ উপলক্ষে যৌথভাবে এক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এ আয়োজনে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) দর্শন বিভাগ, গোবিন্দ দেব দর্শন গবেষণা কেন্দ্র, নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্র ও দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
দিবসটি উপলক্ষে রয়েছে ওয়েবিনার ও স্মরণিকা প্রকাশ। ১৯ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ব দর্শন দিবস বক্তৃতা ২০২০ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুম-এ এর আয়োজন করা হবে।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এতে “সংক্রামক ব্যাধি ও ব্যক্তি রোগীর অবস্থান: জীবনীতিবিদ্যা বনাম জনস্বাস্থ্য নীতিবিদ্যা” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ঢাবির দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাইমা হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন।
স্বাগত ভাষণ প্রদান করবেন নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন অধিভুক্ত সাত কলেজের পক্ষে ইডেন কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ফাহমিদা রাব্বি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা রহমান চৌধুরী বাবলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন রশীদ।
এছাড়াও দিবসটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করতে অধ্যাপক নূরুজ্জামানের সম্পাদনায় বিশ্ব দর্শন দিবস ২০২০ স্মরণিকা প্রকাশিত হবে।
এদিকে, বিশ্ব দর্শন দিবস উপলক্ষে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের বিতার্কিকদের সংগঠন ‘দর্শন বিতর্ক ধারা’।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে ইউনেস্কো দর্শন দিবসের ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে বিশ্ব দর্শন দিবস পালনের আহ্বান জানায়। এর পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ ২০০২ সাল থেকেই নানা উদ্যোগ-আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পালন করা হয় দিবসটি। এরই অংশ হিসেবে দেশের দার্শনিক, দর্শনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দর্শানুরাগী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের মিলনমেলা বসে ঢাবিতে। প্রতিবছর বর্ণিল র্যালি বের হয় দিবসটিতে। তবে করোনার ভয়াল থাবা বাধ সেধেছে সেই উদ্দীপনায়। তাই এবার নিরানন্দ উদযাপনকেই বেছে নিতে হচ্ছে দর্শনানুরাগীদের।