বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ কেন নিরাপত্তা জোরদার?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই প্রক্টরিয়াল টিমের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকেও এই কাজ করতে দেখা গেছে। যারা মূলত বহিরাগতদের ক্যাম্পসে ঘোরাঘুরি বন্ধে মাইকিংয়ের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরাও। তারা বলছেন- বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ করেই কেন এই নিরাপত্তা?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের আনাগোনা বন্ধে আগে সাধারণত সন্ধ্যার পর মাইকিং করত প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। কিন্তু এখন সেই কাজ দিনের বেলাতেই করা হচ্ছে। অনেক সময় তল্লাশী করা হচ্ছে ক্যাম্পাসে প্রবেশ পথগুলোয়। এছাড়াও রাতের বেলায় আলাদাভাবে নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুশিশ প্রশাসন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা খোলা ক্যাম্পাস। এর চারপাশে বাংলা একাডেমি, বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাইকোর্টসহ নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই চাইলেও বহিরাগতমুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তারপরও নিরাপত্তার খাতিরে যতটুকু সম্ভব, এই কাজ চলমান ছিল, এখনও আছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর কাছে। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা সব সময়েই ছিল। এখনো আছে। এটি আসলে হঠাৎ করে নয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই, ক্যাম্পাস ফাঁকা। অথচ বহিরাগতদের একটা সমাগাম আছে। সেজন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলোতে নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। এর বেশি কিছু নয়।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমনা প্রতিষ্ঠান। এখানে সবাই আসবে, যাবে; এটাই স্বাভাবিক। বিশেষভাবে বহিরাগত দমন নীতি না চালালেও হয়। ফারুক হাসান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, আমারা আশঙ্কা করছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ডাকসুর আগের অবস্থার মতো কুক্ষিগত করা হবে। যেখানে মুক্তভাবে কেউ তার মত প্রকাশ করতে পারবে না। অনিয়ম-অনিয়ম দেখেও কথা বলা যাবে না, চুপ থাকতে হবে। ঠিক এমন একটি পরিবেশ পুনরায় তৈরি করার জন্য কাজ করা হচ্ছে।
আর ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়, এমন কেউ যেন ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে না পারে; সে জন্যই এই নিরাপত্তা জোরদার। আর এ কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশের কিছু সদস্য মিলে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।