করোনাকালেই ঢাবির ৮ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, কেন?

  © টিডিসি ফটো

পারিবারিক কলহ, প্রেমঘঠিত জটিলতা, বেকারত্ব, নি:সঙ্গতা, মানসিক চাপ, তীব্র বিষন্নতাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার মিছিল থামছেই না। গত এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ৮ শিক্ষার্থী আত্মহত্যার মতো ভয়ংকর পথ বেছে নিয়েছেন। 

সর্বশেষ এ মিছিলে যুক্ত হলেন ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ফারিহা তাবাসসুম রুম্পা। পরিবারের সদস্যরা জোর করে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় গত সোমবার (২৬ অক্টোবর) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার নিজ বাসা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ এ সময়ে শিক্ষার্থীরা বাড়িতেই সময় কাটাচ্ছেন। এসময়ের মধ্যেও দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার মিছিল থামছেই না। এসব ঘটনায় অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরা যেমন দু:চিন্তায় পড়েছেন, তেমনি ভাবিয়ে তুলেছে অভিভাবক মহলকেও।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। আর সমাজে ধর্ষণ, আত্মহত্যার ন্যায় নানান অপরাধ বাড়ছে। তাদের মতে, লকডাউনে অধিকাংশ সময় বাড়িতে বসে সময় কাটালে এরকম সংকটের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়। এসব রোধে পারিবারিক বন্ধন আরও দৃঢ় করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। 

চাকরি না পাওয়ায় তরুণ সেনের আত্মহত্যা
গত ৮ এপ্রিল তরুণ সেন নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গ্র্যাজুয়েট আত্মহত্যা করেন। তিনি দর্শন বিভাগে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। সরকারি চাকরি না পাওয়ায় এবং চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় আত্মহত্যা করেন তরুণ সেন।

জানা গেছে, করোনাকালে তরুণ সেন বেকারত্ব এবং পারিবারিক অভাব অনটনে নিয়ে হতাশায় ছিলেন। তিনি ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্ম্যা করেন। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়।

সুমাইয়া হত্যা নাকি আত্মহত্যা?
শ্বশুরবাড়ি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২২ জুন সকালে এই ঘটনা ঘটে। সুমাইয়া নাটোর সদরের হরিশপুর বাগানবাড়ি এলাকার মোস্তাক হোসাইনের স্ত্রী।

ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, সুমাইয়াকে হত্যা করা হয়েছে। আর শশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, সে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, সুমাইয়ার দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের এ শিক্ষার্থী মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে ফলাফলের অপেক্ষমান ছিলেন। এসময়ের মধ্যে তিনি বিসিএস ও সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

‘আল বিদা’ স্ট্যাটাস দিয়ে ইমাম হোসাইনের আত্মহত্যা
১৭ আগস্ট নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইমাম হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি ‘আল-বিদা’ লিখে স্ট্যাটাস দেন ওই শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, ইমাম হোসাইনের বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন কবি জসীম উদদীন হলে।

বন্ধুরা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে ছিলেন। কি কারণে ডিপ্রেশনে ছিলেন জানতে চাইলে তারা জানান, প্রেমঘটিত সমস্যার কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের বাবা তাকে একটু কটুকথা বলেছিলো। পাশাপাশি ওই মেয়েও আগের মতো তার সাথে সম্পর্ক রাখতো না। এই কারণে তার মাঝে ডিপ্রেশন চলে আসে।

৯ তলা থেকে পড়ে সাবেক ছাত্র আসিফের আত্মহত্যা
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাঁঠালবাগানের একটি বাসার ৯ তলার বারান্দা থেকে পড়ে আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঢাবির ওই শিক্ষার্থীর পরিবার এবং বন্ধুদের দাবি, তাকে বারান্দা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আসিফ ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৫-২০০৬ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আসিফের বন্ধুরা জানান, আসিফ কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসিফের স্ত্রীর সাথে তার মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো। সে এই কথা আমাদের সাথেও শেয়ার করেছে। আমাদের ধারণা ঘটনার সময়ও আসিফের সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়া হয়েছিল। এ সময় তাকে কেউ ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছে।

তবে আসিফের শশুরবাড়ির লোকজন দাবি করেছেন, আসিফ আত্মহত্যা করেছে। শুধু তাই নয়; আসিফ মাদকাসক্ত ছিলো বলেও দাবি করেছেন তারা ।

চিরকুট লিখে আত্মহত্যা কামরুল বাহার
কামরুল বাহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি অমর একুশে হলের আবাসিক ছাত্র। তার বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম থানার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের উওর মোহাম্মদপুর গ্রামে। কামরুল জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন।

তার পরিবার এবং বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফার্মগেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন। সেখানে বড় ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

পারিবারিক কলহে ঢাবির সাবেক ছাত্র জাকারিয়ার আত্মহনন!
পারিবারিক কলহের জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক ছাত্র জাকারিয়া বিন হক শুভ আত্মহত্যা করেছেন। ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

শুভর শাশুড়ির দাবি, স্ত্রী নীরার সাথে সিগারেট খাওয়া নিয়ে কথাকাটির জেরে সে ফ্যানের সাথে ওড়না ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার স্ত্রী গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে তা নামিয়ে ফেলে। পরে পুলিশে খবর দিলে লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানো হয়।

তবে শুভর পরিবারের দাবি, তাকে মেয়ের পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছেন। পরে নিহতের বড়বোন হাসিনা নাজনীন বিনতে হক বাদী হয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় শুভর স্ত্রী শেহনীলা নাজ ও শাশুড়ি আছমা বেগমসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।

তীব্র বিষন্নতা থেকে শুভজ্যোতির আত্মহত্যা
তীব্র বিষন্নতা ও মানসিক চাপ থেকেই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শুভজ্যোতি মন্ডল (২২)। ১৪ অক্টোবর বিকেলে সংবাদ পেয়ে আদাবর মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৪ নম্বর রোডের ১৪১ নম্বর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শুভজ্যোতি ঢাবির চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগে ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।

শুভজ্যোতির বোন তাপসী মণ্ডল বলেন, সে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। কিন্তু বাহ্যিকভাবে সেটা দেখা যেত না। আমি ঢাকা শহরের বেশ কয়েকজন ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ট্রিটমেন্টও করেছি এবং প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধের ব্যবস্থা করেছি।

রুম্পার আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘প্রেম’
পছন্দের ছেলেকে বাদ দিয়ে অন্যের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়ায় সোমবার (২৬ অক্টোবর) আত্মহত্যা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ফারিহা তাবাসসুম রুম্পা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে পড়ুয়া রুম্পার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন দীঘায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের আবাসিক ছাত্রী তিনি।

রুম্পার একাধিক সহপাঠী জানান, ব্যক্তিগতভাবে রুম্পা একজন ছেলেকে পছন্দ করত। যা পরিবার মেনে নেয়নি। এর মধ্যেই বাবা-মা তার বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। মূলত এ বিষয়টি নিয়েই পারিবারে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। পুরো বিষয়টি নিতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে রুম্পা।

সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা যা বলছেন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালমা আক্তার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, করোনার জন্য আমরা সবাই আইসোলেশনে আছি। আমার ক্ষেত্রে যেমন- বহুদিন আমার কলিগদের সাথে দেখা হচ্ছে না। আর তরুণ প্রজন্মেও রয়েছে ক্যারিয়ারর বড় একটা সমস্যা। তারা কখন পড়াশোনা শেষ করবে, কখন চাকরিতে যাবে এ নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। অনেকে টিউশনি করে চলে।

তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয় যে, সবাই সামাজিকভাবে অনেক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা শঙ্কিত থাকে। অন্য সময় তো বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষকেরা থাকেন তাদের থেকে কাউন্সিলিং নিতে পাওে; কিন্তু এ সময়ে সবাই সবার নিজের সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত আছে। করোনার একটা বড় প্রভাব সারা বিশ্বেই আত্মহত্যার উপরে পড়েছে। কারণ সোস্যাল সিস্টেমটা স্বাভাবিকভাবে এই মুহূর্তে কাজ করছে না।

তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক সবকিছুতেই প্রচন্ড একটা চাপ তৈরি হয়েছে- সেটা একটা বিশাল কারণ। আর এর জন্য দুঃখজনকভাবে সব পর্যায়ের লোকজনই আত্মহত্যা করছে। এই চাপটা কেউ নিতে পারছে না। এটা সমাধানের পথ পাচ্ছে না তারা।

করোনার কারণে আমরা কেবল স্বাস্থগত দিকটাতেই আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কিন্তু এর পাশাপাশি আমাদের সামাজিক মনস্তাত্ত্বিক দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। বেঁচে থাকতে হবে তো আমাদের! তাই ওই দিকটা দেখতে হবে। ঝুঁকির মধ্যে ছাত্রদের কিভাবে সাপোর্টের মধ্যে আনা যায় সেটা বিবেচনায় রাখতে হবে-যোগ করেন অধ্যাপক ড. সালমা আক্তার।

বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম বলেন, করোনার কারণে আত্মহত্যা, সংঘাত, পারিবারিক কলহ, চুরি, ধর্ষণ প্রভৃতি অপরাধ বেড়েছে। মানুষ আবদ্ধ হয়ে থাকলে, কাজ না থাকলে, বিরক্ত হয়ে গেলে, আয় না থাকলে, এক সাথে থাকতে গেলে এরকম ক্রাইসিসের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়। এর মধ্য দিয়ে যেতে গেলে আমাদের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিগুলো বের হয়ে আসে। হোমিসাইড বা সুইসাইড যাই বলি না কেন এটাই হচ্ছে রেজাল্ট।

তিনি বলেন, একটা হলো বাইরের প্রভাবে আমরা এমনটাই করি। আর অপরটি হলো আমাদের ব্যক্তিত্বে গঠনটা কি রকম? ছোটবেলা থেকে আমরা যথেষ্ট আদর-ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়েছি কিনা বা আমাদের বাবা মায়ের সাথে আমাদের বোঝাপড়াটা ভালো ছিলো কিনা? আমাকে পরিবার বুঝতো কিনা সেটা বড় বিষয়।

তিনি আরও বলেন, বাবা-মায়ের সাথে যাদের সম্পর্ক দৃঢ় থাকে তারা মানসিকভাবে অতোটা অস্থির হয়ে যায় না। ওদের আগে থেকেই বন্ধনটা ভালো থাকে। বিপদে পড়লে পরিবারের কাউকে না কাউকে তারা অবগত করে। এমন কেউ থাকা দরকার যে তার মনের কথাটা শোনে। তাকে বুঝতে পারে। তবে আমি কেবল পরিবারগুলোকেই দোষ দিতে পারি না। কারণ অনেকক্ষেত্রে পরিবার তাদের সম্পর্কে জানে না। পরিবারকে কেউ শেখায় নি। তাদেরকে দোষারোপ করা যাবে না। এমনি এমনি একটা বাচ্চার মন বোঝা সহজ নয়। আমাদের মানসিক গঠনেই মূল সমস্যা দেখতে পাচ্ছি আমি।


সর্বশেষ সংবাদ