ঢাবিতে ভর্তি হতে কোচিংয়ের প্রয়োজন নেই: উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্তভাবে কোচিং সেন্টারে ভর্তির প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সোমবার (২৬ অক্টোবর) ঢাবিতে ভর্তি প্রস্তুতিতে করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে এ কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি তাদের পাঠ্য বইয়ের পড়াগুলো সঠিকভাবে অধ্যয়ন করে এবং তাদের শিক্ষকরা যে কথাগুলো বলেছে; সেগুলো মন দিয়ে শোনে তাহলে তার কোচিংয়ে ভর্তির প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। নিজে নিজে পড়ে সামগ্রিক বিষয়গুলো অধ্যয়ন করে তাহলে তো কোচিংয়ের প্রশ্নই ওঠে না। কোচিংকে এক সময় নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হতো।
কোচিংয়ে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক সময় যারা কোচিং করতো ধরে নেয়া হতো তারা ভালো ছাত্র না। অনেকে তখন গোপনে কোচিং করতো। একজন ভালো ছাত্র সে তার পাঠ্যবইয়ের সাথে, তার শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ রেখে পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে পারে। তার দক্ষতা অর্জিত হয়। একমাত্র তুলনামূলকভাবে যারা ক্লাসে ভালো না, যারা নিয়মিত না, যারা বাড়িতে সুযোগ পায় না তাদেরকে এক সময় কোচিং করানো হতো এবং সেটিকে কোনোক্রমেই সম্মানজনকভাবে দেখা হত না। অভিভাবকরাও সেটা গোপন রাখতো। এ কারণে যে ছেলে প্রাইভেট পড়ে কোচিং করে এর মানে হলো- সে তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
মফস্বল এলাকায় বা সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বিষয়টাকে কোচিংয়ের দিক থেকে কীভাবে মূল্যায়ন করা যায়- এ বিষয়ে তিনি বলেন, তোমার বিষয়টা সাথে আমি শতভাগ একমত। সেটা হলো- আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পরিসংখ্যান, শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যাপারে একটা আশাব্যঞ্জক দিক হলো, আমরা এমনকি আমাদের অনেকের পূর্বপুরুষ বিভিন্ন প্রতিকূলতা জয় করে গ্রাম থেকে উঠে আসা। তাদের অনেকের কাছেই কিন্তু এই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, কোচিং, টিউশনি, প্রাইভেট এই সুযোগগুলো ছিলো না। কিন্তু তারা ভালো করেছে।
এর পেছনে মূলকারণ সম্ভবত একটাই। এটা আমি সবসময়ই বলি। আর তা হলো আমাদের যে পাঠ্যক্রম তার সাথে আমাদের যোগসূত্রতা গভীর ছিলো। চান্স পাওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের মাধ্যমিক স্তরের এবং তার নিচের স্তরের যে পাঠ্যক্রম এগুলোর সাথে তাদের সম্পর্ক ভালো ছিলো। এরা কিন্তু লেখাপড়ায় ভালো ছিল। তারা কোচিং সুবিধা পেয়ে ভালো করেছে সেটা কিন্তু আমি বলি না। তাহলে আমরা কেউ এখানে আসতে পারতাম না।