জাবিতে কার্যদিবস বাড়ানোর দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

করোনা মহামারিতে সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এর মধ্যে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত না হলেও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমোদন রয়েছে। তবে কার্যদিবস ও কর্মঘন্টার পরিমাণ কম হওয়াই বিড়ম্বনায় পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

তার ওপর এসব দিনেও অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিসে না আসার অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় দাপ্তরিক দিবস ও কর্মঘন্টা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

রফিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী পাবনা থেকে জরুরী প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে এসেছেন। দাপ্তরিক সময় অনুযায়ী রবিবার দুপুর ২টার আগে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে না পারায় তাকে পরবর্তী বুধবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। এসময় তিনি ক্যাম্পাস সংলগ্ন আশেপাশে বন্ধুদের সঙ্গে মেসে ওঠেন।

অন্যদিকে সদ্য স্নাতক পাশ করা শিক্ষার্থীরা সনদপত্র ও নম্বরপত্র নিতে আসলে কাঙ্খিত সময়ের মধ্যে উত্তোলন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তাদের। এমনকি কর্মদিবস কম হওয়ায় শিক্ষকদের অনেক ফাইল দিনের পর দিন কর্মকর্তাদের দপ্তরে পড়ে থাকছে। এভাবেই সপ্তাহে দু’দিনের কার্যদিবসে পরিচালিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য আমাকে ২১ কার্যদিবস অপেক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। সপ্তাহে অফিস খোলা থাকে মাত্র দুই দিন। সে হিসাবে সার্টিফিকেট পেতে সময় লাগবে প্রায় দুই মাস। অনেকেই বিভিন্ন চাকরির আবেদন বা জরুরী কাজের জন্য গ্রাম থেকে সার্টিফিকেট নিতে আসেন। যেহেতু আবাসকি হলগুলো বন্ধ তাদের জন্য এই সময় ক্যাম্পাস বা এর আশেপাশে অবস্থান করা কষ্টসাধ্য।’

এদিকে এর আগে ৯ জুলাই প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল করতে অফিস আদেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। অফিস আদেশে বলা হয়, ১২ জুলাই ক্যাম্পাস অথবা ক্যাম্পাসের পাশ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী জনবল দিয়ে স্বল্প পরিসরে (রবি ও বুধবার) সকাল ৯.৩০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান কর্তৃক স্ব-স্ব অফিসে প্রয়োজনীয় কার্য সম্পাদন করানো যাবে।

রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, কোনো ফাইল স্বাক্ষর করাতে হলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে লেগে যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ দিন। প্রথমে সেটি রেজিস্ট্রারের কাছে যায়, তারপর পরবর্তী কর্মদিবেসে সেটি যায় উপ-উপাচার্যের কাছে। শেষে যায় উপাচার্যের কাছে। অফিস সপ্তাহে মাত্র দুইদিন খোলা থাকার কারণে একটি ফাইল পুরোপুরি প্রস্তুত হতেই প্রায় এক মাস সময় অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্মদিবস অথবা অথবা কর্মঘন্টা বাড়ানোর বিষয়ে ভাবছে। বিশ্ববিদ্যালয় দুই দিন খোলা থাকলেও আমরা জরুরী কাজের জন্য প্রায় প্রতিদিনই অফিসে আসছি।’


সর্বশেষ সংবাদ