অটোপ্রমোশন-অ্যাসাইনমেন্ট সংকটের সমাধান নয়: ছিদ্দিকুর রহমান

ঢাবির সাবেক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান
ঢাবির সাবেক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান  © ফাইল ফটো

মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ‘লার্নিং গ্যাপ’ তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে বর্তমান সিলেবাস শেষ না করে ওপরের ক্লাসে তুলে দিলে তারা ওই ক্লাসের সিলেবাস বুঝতে পারবে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেন, সৃষ্ট করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নেয়া সিদ্ধান্ত অর্থাৎ শিক্ষা ব্যবস্থায় অটোপ্রমোশন-অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষা সংকট উত্তরণের সঠিক সমাধান নয়।

সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক এ কথা বলেন।

সাবেক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ঐকিক নিয়ম না শিখিয়ে সপ্তম শ্রেণিতে ওই বিষয়ে উচ্চতর কোনো গণিত সমাধান করতে দিলে শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্ভব হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি সেমিস্টার, ইয়ারের ওপরে নির্ভর করে পরের সেমিস্টারের সিলেবাস তৈরি হয়। ভিত্তি যদি না শিখে শিক্ষার্থীরা ওপরের শ্রেণিতে যায় তাহলে তার ফল হবে ভয়াবহ। এটি শিক্ষার গুণগত মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

এসময় তিনি বলেন, সময়ের চেয়ে জরুরি ভালোভাবে পাঠের বিষয় শেখা। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যদি এই সিলেবাস শেষ করতে পারে তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষার যে সিলেবাস আছে তা বুঝতে শিক্ষার্থীদের গলদঘর্ম পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না।

তিনি আরও বলেন, অটোপ্রমোশন কখনই ভালো সিদ্ধান্ত নয়। অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে কখনো এই শ্রেণির প্রয়োজনীয় জ্ঞান শিক্ষার্থীকে দেওয়া সম্ভব নয়। সময় বাঁচলেও কিছুই না শিখে ওপরের ক্লাসে চলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এর ফল হবে ভয়াবহ। সময়ের শূন্যস্থান নয়, শেখার শূন্যস্থান দূর করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ