দায়বদ্ধতা আছে, জাতির কাছে অবস্থান পরিষ্কার করব: রাবি ভিসি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসনের একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে নিজের দায়বদ্ধতা আছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। তিনি বলেছেন, আগামী রবিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে সরকার ও জাতির কাছে নিজের অবস্থার পরিষ্কার করবেন।
আজ শুক্রবার উপাচার্য গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ওই দিনই সব ক্লিয়ার (পরিষ্কার) করব। যে অভিযোগুলো আছে, সেগুলোর সমস্ত কিছুই স্বচ্ছভাবে তুলে ধরব। এটা আমি মনে করি যে, জাতির কাছে এবং সরকারের কাছেও একটা দায়বদ্ধতা, আমার অবস্থানটাকে পরিষ্কার করা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহান, উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এম এ বারীসহ প্রশাসনের একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওঠা ২৫টি অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি। দুর্নীতির মাধ্যমে তাদের ‘নৈতিকতার মারাত্মক স্খলন’ হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা স্বাক্ষর করে ৩০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র সংবলিত একটি নথিপত্র প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুদক ও ইউজিসি বরাবর পাঠান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি গঠিত তদন্ত কমিটি করে ইউজিসি।
ওই কমিটির প্রধান ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। বিস্তর তদন্ত করে ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদনে এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ১১ দফার সুপারিশ করেছে ইউজিসির তদন্ত কমিটির সদস্যরা। পরে তদন্ত কমিটির সেই প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়।
এদিকে অভিযুক্ত রাবি প্রশাসনে দায়িত্বরত ভিসি অধ্যাপক মো. আব্দুস সোবহান, প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও রেজিস্ট্রার এম এ বারীসহ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অন্যান্য কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশন।
এছাড়া অভিযুক্তদের অপসারণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দল।
সাদা দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহা. এনামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, স্বজনপ্রীতি, অর্থের বিনিময়ে নিয়োগসহ বিভিন্ন দূর্র্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এমতাবস্থায় তারা পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা তারা হারিয়েছেন।