ঢাবির উন্নয়ন ফি প্রত্যাহার চেয়ে ভিসিকে স্মারকলিপি ছাত্রলীগের

উপাচার্যের কার্যালয়ে তাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
উপাচার্যের কার্যালয়ে তাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক  © টিডিসি ফটো

করোনা পরিস্থিতিতে চলতি বছরের উন্নয়ন ফি প্রত্যাহরের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মরকলিপি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

এর পাশাপাশি উন্নয়ন ফি গ্রহণ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন এবং নীতিমালা প্রণয়নের পূর্ব পর্যন্ত আগামী বছর থেকে উন্নয়ন ফি ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১ টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে তাকে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। এ সময় সংগঠনটির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রলীগের স্মারকলিপিতে বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারি করােনার কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয়। দীর্ঘ এ ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক, চিকিৎসাজনিত ও অনলাইন ক্লাস সংক্রান্ত সমস্যায় দিনাতিপাত করছে।

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ/ইন্সটিটিউট/অনুষদে পৃথকভাবে বার্ষিক সেমিস্টার ভিত্তিতে উন্নয়ন ফি গ্রহণ করা হয় যা বিভিন্ন রকম সহ-পাঠ্য কার্যক্রম ও আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় করা হয়ে থাকে। আমরা মনে করি, বিদ্যমান বাস্তবতা ও শিক্ষার্থীদের চলমান সঙ্কটের আলােকে চলতি শিক্ষাবর্ষে উন্নয়ন ফি গ্রহণ শিক্ষার্থী স্বার্থের পরিপন্থী। পাশাপাশি মহামারি করােনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে সহ-পাঠ্য কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভবপর না হওয়ায় এবছর উন্নয়ন ফি গ্রহণ কোনভাবেই যৌক্তিক নয়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা মনে করি, উন্নয়ন ফি যেভাবে নেয়া হয় এটির মাধ্যমে আসলে শিক্ষার যে আর্থিক দায়ভার এটি শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা আমরা দেখতে পাই।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা একটি বৈশ্বিক মহামারি অতিক্রম করছি। করোনা সংকটকালীন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং তাদের পরিবারের আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। যেহেতু এই উন্নয়ন ফি’র টাকা কেন্দ্র গ্রহণ করে না, বিভাগগুলো গ্রহণ করে। বর্তমানে এই টাকা এবার ব্যবহার করার প্রয়োজন হচ্ছে না। যেহেতু আমরা সহপাঠ কার্যক্রম চালাতে পারছিনা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এ আহবান জানিয়েছি।


সর্বশেষ সংবাদ