২০ অক্টোবর ২০২০, ২১:২৮

সশরীরে ভর্তি পরীক্ষা, ঢাবির সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিশ্বাস ভর্তিচ্ছুদের

  © ফাইল ফটো

অনলাইনে নয়, আগের নিয়মে সশরীরে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। তবে এবার ভর্তি পরীক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। অন্যান্য সময় ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হলেও এবার পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের। আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ঢাবির ডিনস কমিটির বিশেষ সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

আজকের সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য এসব বিষয় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এ সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ডিনস কমিটির এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনার পর চূড়ান্ত হবে।

এদকে, সশরীরে ভর্তি পরীক্ষার নেয়ার এমন সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তারা মনে করেন, অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নিলে অনেক অনিয়ম হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাছাড়া মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে গ্রামের ও দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা হলে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হবে মনে করছেন তারা।

সিনথিয়া রহমান নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা অনৈতিক উপায়ে পরীক্ষা দেওয়ার একটা অপচেষ্টা করতে পারে। তাই সশরীরে পরীক্ষা নেয়া হলে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী বাছাই করার সুযোগ পাবে বিশ্ববিদ‌্যালয়।

মেহেদী হাসান  নামে আরেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, মেধাবীরাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। এসবের একটি বড় অংশ মফস্বলের। অনলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হলে এসব মেধাবীরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। কারণ সেখানে ইন্টারনেট কানেকশান দুর্বল আর স্মার্টফোন-ল্যাপটপের সীমাবদ্ধতাও রয়েচে।

ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমরা সশরীরে ভর্তি পরীক্ষা নেব। সব অনুষদের ডিন এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। প্যানডেমিক সিচুয়েশন বিবেচনা করে এইচএসসির রেজাল্টের পর আমরা ভর্তি পরীক্ষা নেব। 

তিনি আরও বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে চাই। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা নেব, যাতে শিক্ষার্থীদের ঢাকায় না আসতে হয়।