ঢাবিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা, মানবণ্টন যেভাবে

  © ফাইল ফটো

স্বাস্থাবিধি মেনে সশরীরে সম্মান প্রথম বর্ষ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। তবে পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষার নম্বর বৃদ্ধি, এমসিকিউ ও উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর কমানো এবং বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা কেন্দ্র করাসহ বড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।  

আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।

সভা সূত্রে জানা যায়, ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিবার ২০০ নম্বর হলেও এবার পূর্ণমান থাকবে ১০০। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক থেকে রেজাল্টের উপর ৮০ নম্বর থাকলেও এবার সেটি কমিয়ে ২০ নম্বর করা হয়েছে। আর এমসিকিউ নম্বর ৭৫ থেকে ৩০ করা হয়েছে। এছাড়া লিখিত পরীক্ষার নম্বর থাকবে ৫০। সবমিলিয়ে ১০০ নম্বরের উপর ভর্তিচ্ছুদের মেধাক্রম তৈরি করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ডিনস কমিটির সভায় লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।  এ পরীক্ষাটি ১০০ নম্বরের হবে। এসএসসি ও এইচএসসি দুটোতে থাকবে টোয়েন্টি পার্সেন্ট। আশির মধ্যে দিতে হবে ৩০ এমসিকিউ এবং রিটেন ৫০‌।

সভা সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ভর্তির তারিখ জানানো হবে। এছাড়া করোনার কারণে ঢাকার বাইরে বিভাগগুলোয় শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া চিন্তা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এখন ডিনস কমিটির সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে যাবে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সূত্র আরও জানায়, করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বিভাগে নেওয়ার কথাও হয়েছে। অর্থাৎ যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের, তারা সেই বিভাগে পরীক্ষা দেবে। এর ফলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে ঢাকায় আসতে হবে না।

এ বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, আমরা ভর্তি পরীক্ষা নেব। আমাদের সকল অনুষদের ডিন এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। প্যানডেমিক সিচুয়েশন বিবেচনা করে রেজাল্টের পর ডিসেম্বরে আমরা ভর্তি পরীক্ষা নেব।

অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনদিনই মতামত দেওয়া হয়নি। আমরা অনলাইনে নেব না, সরাসরি পরীক্ষা নেব।

তিনি আরও বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে চাই। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এ বিষয়ে আরো আলোচনা হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হয়তবা বিভাগভিত্তিক হিসেবে পরীক্ষা নিয়ে নেব, যাতে শিক্ষার্থীদের ঢাকায় না আসতে হয়।


সর্বশেষ সংবাদ