সব আসামি গ্রেফতার হলেই অনশন ভাঙব: ঢাবি ছাত্রী

অনশনে ঢাবি ছাত্রী
অনশনে ঢাবি ছাত্রী  © সংগৃহীত

সব আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেই ছাত্রী। মামলায় ইতিমধ্যে দুইজন গ্রেফতার হয়েছেন, তাদের রিমান্ড চলছে। তবে বাকি আসামিদের গ্রেফতারের না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন তিনি।

তিনি জানান, দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের দুইদিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন। সেক্ষেত্রে কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। তবে বাকি যে কয়জন (৬ জন) আসামি রয়েছে তাদের প্রত্যেককে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করার দাবি জানাই। সবাইকে গ্রেফতার করা পর্যন্ত আমি এখানে অবস্থান করবো।

টানা অনশনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকেও ঘুরে এসেছেন তিনি। শারিরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান, আমি অসুস্থ ছিলাম, ব্লাড প্রেসার কিছুটা কমে গিয়েছিল। আজকে আবার গলায়ও সমস্যা হচ্ছে। তবে এখন সুস্থ আছি।

এদিকে সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে ধর্ষণ মামলার বাদীকে ‘দুশ্চরিত্রা’ বলার অভিযোগে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ঢাবি ছাত্রী বলেন, ফেসবুক লাইভে ডাকসু সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ‌দায়িত্বজ্ঞানহীন, মনগড়া ও বানোয়াট। তিনি আমাকে নিয়ে যে কথা বলেছেন তা ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে তার মুখে মানায় না। এ কথার মাধ্যমে তিনি এক রকম ধর্ষণের বৈধতা দিচ্ছেন।

এ মামলায় নুরুল নুরকে আসামী করা হলেও তিনি নিজেকে নির্দোশ দাবি কলেছেন। তিনি বলেছেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ। প্রধানত, তাঁকে (মামলার বাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী) আমি পতিতা বলে হুমকি দিয়েছি। যদি প্রমাণ করতে পারে, স্বেচ্ছায় ফাঁসি নেব। দ্বিতীয়ত, যদি প্রমাণ করতে পারে, তাঁর সঙ্গে আমার নীলক্ষেতে দেখা হয়েছিল বা মীমাংসার জন্য তাঁর সঙ্গে নীলক্ষেতে বসেছিলাম। এই দুটো অভিযোগের একটাও যদি প্রমাণ করতে পারে, স্বেচ্ছায় ফাঁসি নেব। লাইভে এসে বললাম।

নুর-মামুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কোতওয়ালী থানায় ও লালবাগ থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ইসলামিক স্টাডিজ পড়ুয়া এক ছাত্রী ওই মামলা করেন। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রী। লালবাগ থানার মামলার বর্ণনায় ওই ছাত্রী হাসান আল মামুনের সঙ্গে প্রেম ও প্রণয়ের কথা জানিয়ে বিয়ে নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ তুলেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আবদুল্লাহ হিল বাকী। একই তরুণীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মূল আসামি পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসান। আর তিন নম্বর আসামি নুরুল হক নুর। বাকিরা হলেন আহবায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আবদুল্লাহ হিল বাকী।


সর্বশেষ সংবাদ