১০ অক্টোবর ২০২০, ১৮:২৬

একদিন ডাব্লিওএইচও নোবেল পেলে বিস্মিত হব না: ঢাবি ভিসি

  © টিডিসি ফটো

বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লিওএফপি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘একদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিওএইচও) নোবেল পেলে আমি বিস্মিত হব না।’

আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবনিয়ারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে জুম প্লাটফর্মে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। করোনা মানে আইসোলেশনে থাকা নয়। এখন আমরাতো সবকিছু চমৎকারভাবে করতে পারছি।

তিনি বলেন, মহামারির মধ্যেও একটি ভলো নিউজ যে ডাব্লিওএফপি এবার নোবলে পুরস্কার পেয়েছে। একদিন ডাব্লিওএইচও এই পুরস্কার পেলে আমি বিস্মিত হব না। আর্ন্তজাতিক এই সংগঠনটি করোনাসহ যেকোন সংকটময় মুহুর্তে বিশ্বের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আামি আশাবাদী ঠিক সময়ে সংগঠনটি নোবেল অর্জন করবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, কোভিড-১৯ উন্নত ও অনুন্নত সকল দেশের সব বয়সের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিশুরা সবচেয়ে বেশি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসতে শুরু করেছে। অচিরেই এই সংকট কেটে যাবে। আবার শিশুরা মাঠে খেলবে ও স্কুলে যাবে। 

অধ্যাপক মোছাম্মৎ নাজমা খাতুন তার মূল প্রবন্ধ উপস্থানায় বলেন, মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের গড় আয়ু সুস্থদের তুলনায় ১৫-২০ বছর কম। কম বাজেট বরাদ্ধের কারণে কম সংখ্যক মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকে।

আজকের ওয়েবনিয়ারে করোনাকালে ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন বিষয়ে ক্লিনিক্যাল সাইক্লোজিস্টগণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি চারজনে একজন ব্যক্তি তাদের জীবনদশায় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর দিবসটি পালন করে আসছে।