০৭ অক্টোবর ২০২০, ১৪:১৭

ঢাবিতে টিপিবির ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধনে ওমর সানি-মৌসুমী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম পজিটিভ বাংলাদেশের ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

টিম পজিটিভ বাংলাদেশের (টিপিবি) মুখপাত্র গোলাম রাব্বানী বলেছেন, ধর্ষণ মামলায় বাদী তথা ভুক্তভোগীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ ও মামলা পরিচালনার যাবতীয় ব্যয়ভার রাষ্ট্র কর্তৃক বহন শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষকদের যাতে বিচার হয় এবং বাদী মামলা পরিচালনা করতে হিমশিম না খায়, সেজন্য এ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা পবিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে নোয়াখালীসহ সারাদেশে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ণের সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনে চলচ্চিত্র অভিনেতা মোহাম্মদ ওমর সানি এবং অভিনেত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমীসহ প্রায় দুই শতাধিক টিপিবির সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

গোলাম রাব্বানী আরো বলেন, ‘আজ সারাদেশে ধর্ষণের মহামারি দেখা দিয়েছে। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় আজকের এই পরিস্থিতির অন্যতম কারণ। ধর্ষকদের এমন শাস্তি দিতে হবে, যাতে আর কেউ এই কাজ করার সাহস না পায়। আমরা লক্ষ্য করি, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যে বিচার করে, তাতে ধর্ষকদের বিচার হয় না বরং মামলার বাদীকে ভুগতে হয়। ধর্ষণ মামলার সকল দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে এবং ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দিতে হবে।

ডাকসুর সদ্য সাবেক জিএস আরো বলেন, ‘ঠিক যেভাবে এত বছর পর রাজাকারদের বিচার হয়েছে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, তেমনিভাবে ধর্ষকদের বিচারও হতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। আমরা দেখতে চাই, ধর্ষণ প্রতিরোধে সরকার সম্ভাব্য সকল কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে দায়িত্ব নিতে হবে!’

মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে তিনটি দাবী উত্থাপন করেন গোলাম রাব্বানী। দাবিগুলো হলো-

১. অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে, অনতিবিলম্ব বিদ্যমান ১৬০ বছর পুরনো, সেকেলে দণ্ডবিধি আইন সংশোধন।

২. ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত ফৌজদারি আমলযোগ্য অপরাধে, যেকোনো পর্যায়ে সালিশ-বিচার মীমাংসার নামে প্রহসন বন্ধ করতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান।

৩. ধর্ষণ মামলায় বাদী তথা ভুক্তভোগীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ ও মামলা পরিচালনার যাবতীয় ব্যয়ভার রাষ্ট্র কর্তৃক বহন শতভাগ নিশ্চিত করা।