বাংলাদেশে রিং প্রজাপতির দলে নতুন সদস্য
দেশে পাখনায় গোল গোল কালো চাকতিওয়ালা প্রজাপতির সন্ধান ছিলো তিনটির। যাদেরকে রিং জাতীয় প্রজাপতি বলে চেনা যায়। বাংলাদেশে রিং জাতীয় প্রজাপতির সেই তালিকায় যুক্ত হলো আরও একটি। এমন দাবি করেছেন রাজশাহীর ‘হাইটেবিল‘ নামের একদল ফটোগ্রাফার।
গত ১ অক্টোবর রাজশাহীর পদ্মাপাড় শিমলা এলাকায় প্রজাপতিটির সন্ধান পেয়েছেন তারা। বিষয়টি জানিয়েছেন ‘হাইটেবিল’ গ্রুপ সদস্য ইমরুল কায়েস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ফটোগ্রাফিক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তিনি। নতুন পাওয়া প্রজাপতিটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘ইপথিমা অ্যাস্টেরোপ’ (Ypthima asterope)।
বাংলাদেশের প্রজাপতির তালিকায় রেকর্ডেড ছিলো না দাবি করে ইমরুল কায়েস জানান, প্রজাপতির বেশ কয়েকটি পরিবার আছে। এটি ব্রাস্টফুটেড বাটারফ্লাইয়ের পরিবারের মধ্যে পড়ে। ব্রাস্টফুটেডের মধ্যে কয়েকটা আছে রিং। যার বিশেষত্ব হলো এদের পাখনা বাদামী রংয়ের এবং পাখনার উপরে কালো রংয়ের গোল গোল চাকতি থাকে।
গোটা পৃথিবীতে এই রিং জাতীয় প্রজাপতি ২০টির মতো আছে। বাংলাদেশে রিং জাতীয় প্রজাপতির মধ্যে তিনটি রেকর্ডেড। যার দুইটা প্রায়ই দেখা যায়, আরেকটা খুব কম দেখা যায়। এটা দিয়ে বাংলাদেশে রিং জাতীয় প্রজাপ্রতির সংখ্যা চারটি।
কীভাবে খোঁজ পেলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে ইমরুল কায়েস বলেন, ‘হাইটেবিল গ্রুপটি মাছ, প্রজাপতি, ফড়িং, পোকা-মাকড়, পাখি নিয়ে কাজ করে। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছিলাম। সন্দেহ ছিলো সীমান্তের ওপাশে যেহেতু আছে, সেহেতু বাংলাদেশেও থাকতে পারে। সেদিন বৃষ্টি শেষে আমরা বসেছিলাম পদ্মাপাড়ের ওই এলাকায়।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমাদের আকাশ মজুমদার নামের একজন সদস্য সেটি লক্ষ্য করেন। পরে ডা. মাহমুদুল হক ওলি বিকেল ৫টার দিকে প্রথম ছবি তোলেন। গ্রুপ সদস্য দুর্লভ এবং তুষার ইসলামকে সাথে নিয়ে সবাই তুলেছিলেন প্রজাপতিটির ছবি।’