০৪ অক্টোবর ২০২০, ০৯:১১

প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবকাঠামো উন্নয়নে তৈরি করা মাস্টার প্ল্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানোর কাজ চলছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাসাটার প্ল্যানের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর আগে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে গতকাল শনিবার (৩ অক্টোবর) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাবি প্রশাসনের একটি ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মাস্টার প্ল্যানের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

রবিবার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা মেনে আমাদের এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এটির কাজ শেষ হয়ে গেছে। তবে কিছু সংশোধনী এসেছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে আমরা এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কিছু সংশোধনী এসেছে। এটি ফাইনালাইজ করে আমরা মাস্টার প্ল্যান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবো।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় এই মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়। এটিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টার প্ল্যান।

এই মাস্টার প্ল্যানে পরিকল্পিত এবং বিজ্ঞান সম্মত আধুনিক ও নান্দনিক ক্যাম্পাস তৈরির সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও প্রস্তাবনা রয়েছে। এতে ক্যাম্পাসকে যুগোপযোগী করাসহ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসিক চাহিদা মেটানো, আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি সুবিধা প্রদান, পার্কিং সুবিধাসহ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সবুজায়ন, খেলার মাঠ উন্নয়ন, সোলার এনার্জি স্থাপন, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংসহ জলাধার সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করাসহ পরিবেশ সংরক্ষণ, আধুনিক জিমনেসিয়াম নির্মাণ, মানসম্মত মেডিকেল সেন্টার স্থাপন ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যৎ ক্যাম্পাস বিনির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এই মাস্টার প্ল্যানে।