০২ অক্টোবর ২০২০, ২২:২৩

চবি কর্মচারীকে পেটালেন চাকসুর ডেপুটি রেজিস্ট্রার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) কেন্দ্রের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমেদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের অফিস সহকারী মো. আলমগীরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পুত্রকে সাথে নিয়ে ওই কর্মচারীকে মারধর করেন তিনি।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২ অক্টোবর) মো. আলমগীর বাদী হয়ে জাকের আহমেদ, তার দুই ছেলে মোজাহিদ চৌধুরী ও মোস্তাফিজকে আসামী করে হাটহাজারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী থানার ডিউটি অফিসার এস আই রাজিব বলেন, বাদী অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি ওসি তদন্ত স্যারের টেবিলে আছে।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৩:৪৫ টার দিকে অফিস শেষে বাসায় যাওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনী মসজিদের পাশে সাঈদের দোকানের সামনে বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা দশজন লোক আমাকে একলা পেয়ে অতর্কিতে এলোপাথাড়িভাবে মারধর করে নীলা ফোলা জখম করে। বিবাদী জাকের আহমেদ আমাকে হত্যার উদ্দেশে লাঠি দ্বারা মাথায় আঘাত করে। তারা আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কর্মচারী মো. আলমগীর বলেন, ২০০৫ সাল থেকেই তাদের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব খাটিয়ে তারা আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে৷ এর জেরে আমার ছোটভাই বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে জাকের আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের জমির উপর বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা চালায়। বাধা দিলে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিল।

ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জাকের আহমেদকে মুঠোফোনে কল দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত হওয়াত জন্য তিনিই জাকের আহমেদ কিনা জানতে চাইলে তিনি কল কেটে দেন।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত কর্মকর্তা জাকের আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখল, মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি, ঘুষের টাকা দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি কেনার অভিযোগ রয়েছে। অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাধিকবার বহিষ্কৃতও হন তিনি। পরে জামায়াতের সাবেক এই নেতা রাজনৈতিক খোলস পাল্টে ও উপাচার্যের পালাবদলে আবারও ফিরে আসেন স্বপদে। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা কনক সরকার ও একই বছর বাদীর ভাই এডভোকেট রায়হান উদ্দীনকেও মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।